এই পৃথিবী যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল তখনই ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল, সোমবার সুবহে সাদিকের সময় এ ধরার বুকে তাশরিফ এনেছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (দ.)। তাঁর এই আগমন দিনের খুশিই হলো মিলাদুন্নবী। রাসূল (দ.)-এর শুভাগমন সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, “হে নবী! আপনি বলুন, তোমরা আল্লাহর করুণা ও দয়াপ্রাপ্ত হয়ে আনন্দ প্রকাশ কর।” -সূরা ইউনুস, আয়াত নং ৫৬। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.)-এর মতে, এখানে ফজল ও রহমত অর্থ রাসূল (সা.)-এর শুভাগমন।” নবীজি (দ.)-এর শুভাগমনে ইবলিশ শয়তান ছাড়া সবাই খুশি। বিশ্ববাসীসহ আমরাও মহা খুশি। “রাসূল (দ.) রোজা পালনের মাধ্যমে মিলাদুন্নবী উদযাপন করতেন।” -মুসলিম। রাসূল (সা.)-এর সময় মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়েছে। সাহাবায়ে কিরামও মিলাদুন্নবী করেছেন। আল্লাহ বলেন, “আমি আপনার অসিলায় আপনার (উম্মতের) আগের পরের সব গুনাহ মাফ করে দিয়েছি।” -সূরা ফাতাহ, আয়াত নং ২। রাসূল (দ.) শরিয়তের, হেদায়তের মূল উৎস। তাঁকে ভালোবাসা, আনুগত্য করা মহান আল্লাহর নির্দেশ। করোনাভাইরাসের এ মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রবিউল আউয়াল, রাসূল (সা.)-এর আগমনের মাসে আল্লাহর কাছে আমরা দোয়া করি “হে আল্লাহ! কোরআন ও সুন্নাহর পথে তুমি আমাদের চালিত কর। রাসূল (সা.)-এর দেখানো পথ, সাহাবায়ে কিরামের পথে আমাদের চালাও।
আসুন; আল-কোরআন তিলাওয়াত, নফল রোজা, দরূদ-সালাম, দান-সদকা, রাসূল (সা.)-এর জীবনী- আদর্শ আলোচনার মাধ্যমে আমরা মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন করি। পৃথিবীর সব মুমিন মুসলমান রাসূল (সা.)-এর দেখানো শান্তির পথে পরিচালিত হোক, রাসূল (সা.)-এর শুভাগমনের এই মাসে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে এই দোয়া করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন।