প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী

| বৃহস্পতিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে পাঁচদিনের ‘বিজয় উৎসব’ শীর্ষক বিজয় কনসার্ট ও মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন।

সম্মানিত অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য নাসির উদ্দীন ইউসুফ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান ও ‘বিউটি সার্কাস’ চলচ্চিত্রের পরিচালক মাহমুদ দিদার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, ব্যবসা-শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন প্রফেসর এম. মঈনুল হক এবং শিক্ষকবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, আমরা চাই, বাংলাদেশ একটি সংস্কৃতিঋদ্ধ দেশ হোক। একটি দেশের পরিচয় তার লেখাপড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। একটি দেশের পরিচয় তার নাটক, তার সাহিত্য, তার সংগীত ও তার বিজ্ঞান-এসব মিলিয়েই। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আমাদের অনেক ক্ষোভ রয়েছে। আমরা তাদের উপনিবেশ ছিলাম ১৯০ বছর। আমাদের বিপুল সম্পদ তারা লুণ্ঠন করেছে।

কিন্তু তাদের জ্ঞানের, তাদের সংস্কৃতির যে ঐশ্বর্য তা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। জার্মানি দুটো মহাযুদ্ধ ঘটিয়েছে; হিটলারের মতো অমানবিক ও নির্দয় মানুষের জন্ম দিয়েছে। তারপরও আমরা অস্বীকার করতে পারি না যে, জার্মানি অসাধারণ সব লেখক, নাট্যকার, কবি ও সুরকারের স্রষ্টা; তার রয়েছে বিশাল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বস্তুত কোনো দেশের সংস্কৃতিকে অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা যায় না। একটা দেশকে এগিয়ে নিতে হলে তাকে সংস্কৃতিঋদ্ধ করেই এগিয়ে নিতে হয়।

বাংলাদেশকেও সংস্কৃতিঋদ্ধ করেই এগিয়ে নিতে হবে। ড. সেন আরও বলেন, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মুখ্য কাজ জ্ঞান বিতরণ ও জ্ঞান সৃষ্টি করা হলেও আমরা চাই, শিক্ষার পাশাপাশি এই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানুক, এই সংস্কৃতিকে ধারণ করুক। কারণ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি অচ্ছেদ্য। এ কারণেই প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করে থাকে। পাঁচদিনের ‘বিজয় উৎসব’ শীর্ষক বিজয় কনসার্ট ও মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী তারই উদাহরণ। ড. সেন ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়কে বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয় বলে উল্লেখ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ স্মরণে আলোচনা সভা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম একাডেমির বার্ষিক সাধারণ সভা ২৫ ডিসেম্বর