সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, অনলাইনে আবেদনের আপলোডকৃত ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব ও স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, পোষ্য সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ন্যূনতম ৯ম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করে ৬ মে তারিখের মধ্যে স্ব–স্ব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবশ্যিকভাবে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি (সত্যায়িত) জমা প্রদানের সময় উক্ত কাগজপত্রের মূল কপি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রদর্শন করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীগণ ৬ মে তারিখের মধ্যে উপরে উল্লিখিত কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের অনুকূলে মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হবে না। খবর বাংলানিউজের।
মৌখিক পরীক্ষার সময় উপরে বর্ণিত সকল সনদপত্র, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্রের মূল কপি প্রার্থীকে সঙ্গে আনতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে পরবর্তীতে জানানো হবে।
গত ২২ এপ্রিল ২১ জেলা : ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাংগাইল, চট্টগ্রাম, কঙবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া গৃহীত লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সংশোধিত ফলাফলে পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। ওইদিন সকালে ফল প্রকাশ করা হয়েছিল, তখন উত্তীর্ণের সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৫৭ জন। পরে মধ্যরাতে এই ফল প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।