প্রাণের উচ্ছ্বাসে প্রাণবন্ত হোক শারদীয় উৎসব

শামু দে | মঙ্গলবার , ৪ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলা ও বাঙালির জাতীয় ঐতিহ্য বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, প্রবারণা পূর্ণিমা, বড়দিন। সকল সমপ্রদায়ের মানুষের মিলন ঘটে এই সব উৎসবে। উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। বাঙালির হাজার বছরে কৃষ্টি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক এই ধর্মীয় উৎসবগুলো। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় ঘটে অসামপ্রদায়িক চেতনার মূলমন্ত্রে, ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ আজ অনেকদূর এগিয়ে গেলেও সামাজিক অবক্ষয় ও সামপ্রদায়িক মনোবৃত্তি সম্পন্ন মানুষের অপশক্তির ষড়যন্ত্রে এসব উৎসবের আনন্দ অনেকটা ম্লান হয়ে যায়। বিশেষ করে হিন্দু সমপ্রদায়ের ধর্মীয় এই মহা উৎসবের আমেজকে ঘিরে শুরু হয় নানা ষড়যন্ত্রের নক্সা। অথচ এই উৎসবকে সামনে রেখে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সামাজিক সমপ্রীতি, কৃষ্টি সংস্কৃতি এগিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু গুটিকয়েক অপশক্তি এসব উৎসবকে মেনে নিতে পারছে না, এরা অস্থিতিশীল করতে চাই দেশকে, ফলে দেশব্যাপী আতংকে থাকে সুনীল সুন্দর প্রিয় বাংলাদেশের অসামপ্রদায়িক চেতনার মানুষগুলো। এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা এগিয়ে যাবো শারদ উৎসবে প্রানের উচ্ছ্বাসে। প্রশাসনের সুনিদিষ্ট পরিকল্পনায় পূজা মণ্ডপ ভিত্তিক মনিটরিং টিমের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে এবারে উৎসব প্রাণবন্ত হবে আশা রাখি। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির এই প্রাণের উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব হোক আনন্দ ও গৌরবের। শিশিরে শিশিরে শারদও আকাশে ভোরের আগমনী বার্তায় ধ্বনিত হোক মায়ের আর্শীর্বাদ। আমাদের সকল দুঃখ, গ্লানি মুছে দিতে এই ধরাধামে আবিভূত হবেন মা দুর্গা। সামাজিক অবিচার, অনিয়ম, ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সৌহার্দ নিয়ে ১ অক্টোবর থেকে পাঁচ অক্টোবর পর্যন্ত মায়ের এই আরাধনায় আসুন আমরা সামিল হই। গড়ে তুলি সুনীল সুন্দর প্রিয় বাংলাদেশ। আশায় বুকবেঁধে আছি সকলের প্রাণের উচ্ছ্বাসে পালিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। ধর্ম যার যার, উৎসব হোক সবার। মায়ের কৃপায় সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এ প্রার্থনা করি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিজয়া দশমী নিয়ে অনেক পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে
পরবর্তী নিবন্ধআমাদের কন্যারা! সগৌরবে মহিমান্বিত হও