প্রশ্নপত্র ফাঁস আমাদের জন্যে যেনো এক সাধারণ ঘটনা। বিভিন্ন সময়ে এ প্রশপত্র ফাঁসের কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা স্থগিত করতে হয়েছে। অতি সমপ্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি ব্যংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। প্রশ্ন জালিয়াতির কারণে ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করতে হয়। কোনো কারণে পরীক্ষা স্থগিত হলে পরীক্ষার্থিদের কতো ঝামেলা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রশ্ন পত্র জালিয়াতির এ অবৈধ উপায়ে বিপুল অংকের অর্থ আয় করা যায় বলে অসাধু চক্রটি সুযোগের সন্ধানে থাকে। যথাযথ নিরাপত্তা বিধান হয় না বলে অসাধু চক্রটি প্রশ্নপত্র জালিয়াতির সুযোগটিও পেয়েও যায়। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন সংশ্লিষ্ট কাজে যারা জড়িত তাদের কেউ কেউ জালিয়াতি সংঘটনে জড়িত না থাকলে কখনো এ অপকর্ম হওয়া সম্ভব নয়। এদের খুঁজে বের করতে হবে। প্রশ্ন জালিয়াতি সংঘটিত হলে সচরাচর সরকারের পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়, চিহ্নিত করে গ্রেফতারও করা হয় কয়েক জনকে। নাটের গুরুরা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। প্রশ্ন ফাঁস কিংবা জালিয়াতির জন্যে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের বেশি গুরুতর কোনো শাস্তির খবর কখনো শোনা যায় না। গুরুতর কোনো শাস্তি না হওয়ার কারণে প্রশ্ন ফাঁসের হোতারা দিন দিন আরও সাহসী হয়ে ওঠে। সরকারের উদাসীনতার কারণে ভবিষ্যতে এ অপকর্ম আরও বেড়ে যাবার আশংকা সৃষ্টি হবে। প্রশ্ন ফাঁস কিংবা জালিয়াতির নিরোধের জন্যে সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে। মূল হোতাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রশ্ন পত্র ফাঁস কিংবা জালিয়াতির ভোগান্তি দুর্বিষহ। জাতি এ দুষ্ট ব্যাধি থেকে মুক্তি চায়।
লেখক : শিশুসাহিত্যিক