প্রবাহ

আহমদুল ইসলাম চৌধুরী | বুধবার , ১১ মে, ২০২২ at ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ

কলেজ জীবনের স্মৃতি : বর্তমান ছাত্রদের আচরণ নিয়ে ভাবনা

দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদের সাথে সংঘাত হচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকা নিউ মার্কেট এলাকায় এ সংঘাত ভয়াবহ রূপ নেয়। একদিকে কলেজের ছাত্র অন্য দিকে ব্যবসায়ী ও তাদের কর্মচারী। উভয় গ্রুপে ২ দিন ভয়াবহ সংঘাত হয়। প্রশ্ন আসছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।

ছাত্রদের সাথে ঢাকা নিউ মার্কেট এরিয়া ত বটেই নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে একে অপরের সাথে মারামারি নিত্য নৈমত্তিক সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি শিক্ষকগণের সাথেও অসাদচরণের কথা বারে বারে শোনা যায়। বাসে, ট্রেনে, টেক্সিতে ছাত্রদের সাথে অশোভন আচরণ, মারপিট প্রায় টিভি নিউজ ও পেপারের মাধ্যমে জানা যায়।

আমার ছাত্রজীবনের স্মৃতি মনে পড়ে। ১৯৬৬ সালে এস,এস,সি পাস করে সাতকানিয়া কলেজে ভর্তি হই। থাকতাম কলেজের হোস্টেলে। তখন কর্ণফুলী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দু’টি কলেজই ছিল। সাতকানিয়া কলেজ ও বোয়ালখালী কানুনগো পাড়া কলেজ। পটিয়া ও কক্সবাজার কলেজ প্রতিষ্ঠা শুরুর দিকে ছিল বিধায় ছাত্রদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে সময় নেয়।

সাতকানিয়া কলেজের হোস্টেলে ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৪ বছর থাকা হয়। আমাদের সময় ইন্টার, ডিগ্রী বলা হত না। ফাস্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ার, থার্ড ইয়ার, ফোরর্থ ইয়ার বলা হত।

ঐ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমনি কম ছিল তেমনি শিক্ষা লাভের গুরুত্বও তুলনামূলক কম ছিল। তারপরও শ্রদ্ধাভাজন অধ্যক্ষ আবুল খায়ের চৌধুরীর যোগ্য নেতৃত্বে অধ্যাপকগণের ত্যাগ আন্তরিকতায় এই সাতকানিয়া কলেজ চট্টগ্রাম অঞ্চলে ছাত্র অভিভাবকগণের কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে।

সাতকানিয়া (লোহাগাড়াসহ) বাদে বাঁশখালীর ছাত্র সংখ্যা ছিল অত্যধিক। এরপর চকরিয়া, কুতুবদিয়া, বৃহত্তর পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার পাশাপাশি উত্তর চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যত্র থেকেও অনেক ছাত্র এখানে এসে পড়ত।

আমার ১৯৬৬-৬৮ যখন ইন্টারে পড়া হয়, তখন ছাত্র সংখ্যা দেড় দুই হাজার মত প্রায়। যখন ১৯৬৮-৭০ ডিগ্রীতে পড়া হয় তখন ছাত্র সংখ্যা দ্রুত কমে আসে। যেহেতু তখন বাঁশখালীসহ বিভিন্ন থানায় আজকের উপজেলায় কলেজ প্রতিষ্ঠা লাভ করতে শুরু করে। আমাদের সময় ছাত্রী সংখ্যা ছিল খুবই কম। তাদের জন্য ছিল বৃহত্তর পরিসরে কমন রুম। অধ্যাপক মহোদয় ক্লাসে যাওয়ার সময় ইঙ্গিত করলেই ৫/৭ জন বা ৮/১০ জন ছাত্রী অধ্যাপক স্যারের পেছনে পেছনে ক্লাসে গিয়ে তাদের নির্ধারিত স্থানে গিয়ে বসত। অধ্যাপক পাঠদান শেষে চলে আসার সময় ছাত্রীরা পেছনে পেছনে চলে এসে কমন রুমে প্রবেশ করত।

আমাদের সময় কলেজে শক্তিশালী ছাত্র সংগঠন ছিল। স্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় চট্টগ্রাম শহর থেকে ২/৩ জন ছাত্রনেতা প্রধান শিক্ষক থেকে অনুমতি নিয়ে আমাদের শ্রেণীতে প্রবেশ করে। তখন আমরা ছাত্র সংখ্যা ২০/২৫ জন। আমাদেরকে একটি করে ফরম দিল পূরণ করে ছাত্র সংগঠনের তালিকাভুক্ত হতে। এটা কোন ছাত্র সংগঠন স্মরণে নেই। যেহেতু ঐ সময় গ্রামাঞ্চলের স্কুলে ছাত্র রাজনীতি ছিল না।

সাতকানিয়া কলেজে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কর্ম তৎপরতা প্রত্যক্ষ করি। তাদের মধ্যে নতুন ছাত্রদেরকে তাদের ছাত্র সংগঠনে ঢুকাতে খুবই তৎপরতা প্রত্যক্ষ করি। তৎমধ্যে ছাত্রলীগের অবস্থান খুব শক্তিশালী মনে হচ্ছিল। এরপর ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন) ও ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া) ভাগ করা আছে। তখন কোথাকার মেনন, কোথাকার মতিয়া আমাদের জানা ছিল না। পরবর্তীতে বুঝতে পারি তারা ঢাকার ছাত্রনেতা। তখন আইয়ুব খান সরকারের পাকিস্তান মুসলিমলীগের ছাত্র ফেডারেশন এবং বর্তমান ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেই সময়কার ইসলামী ছাত্র সংঘ সংগঠন ছিল। তবে সব ছাত্র সংগঠনকে ছাড়িয়ে ছাত্রলীগ শক্ত অবস্থানে, তাদের ছাত্র সংখ্যাও বেশি।

আমরা নতুন ছাত্রদের স্বাগত জানাতে সংগঠনে যেতে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের ম্যানিফেস্টো প্রচার করতে ছিল। এর মধ্যে কোন হৈ হুল্লা চিল্লাচিল্লি নেই। এক সংগঠন আরেক সংগঠনের সাথে ন্যূনতম কোন তর্কাতর্কিও দৃষ্টিগোচর হয়নি।

ছাত্র সংগঠন কলেজের বাহিরে ছোট ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে, এতে নিজেদের ম্যানিফেস্টোর বর্ণনা দিতে গিয়ে তাদের সংগঠনই উত্তম বলে নতুন ছাত্রদের কাছে তুলে ধরত। বিপরীতে অন্যান্য সংগঠনের ম্যানিফেস্টো তাদের সংগঠনের মত যথাযথ নয় বলে শালীনতার মধ্যে সমালোচনা করত।
চার বছর কলেজ হোস্টেলে থাকা হয়। এই চার বছর দীর্ঘ সময়ের মধ্যে কোন সময় ছাত্রদের মধ্যে মারামারি ত নয়ই কোন বাকবিতন্ডা, উত্তপ্ত তর্কাতর্কি দৃষ্টিগোচর হয়নি। ছাত্রলীগ সংখ্যায় বেশি ও শক্তিশালী অবস্থানে থাকলেও তারা দুর্বল অন্য ৩/৪ টি ছাত্র সংগঠনের প্রতি মারমুখী আচরণ ত নয়ই, তাদের প্রচারের অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে এ রকম দৃষ্টিগোচর হয়নি।

আব্বাজান আমিরুল হজ্ব খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী এর ছেলে হিসেবে আমার প্রতি সকলের আলাদা খেয়াল ছিল। কলেজের হোস্টেলে থাকা শুরু করলাম। কিন্তু আমাকে ছাত্র সংগঠনে ঢুকাতে অত্যধিক তৎপরতায় আমি বিরক্ত। তারা আমার সিনিয়র হলেও আমরা জুনিয়রদের প্রতি ব্যবহারেও শালীনতা প্রত্যক্ষ করি।
মাতা-পিতার দোয়া ও আমার হযরত পীর ছাহেব গারাংগিয়া হযরত বড় হুজুর কেবলার সান্নিধ্য তখন ছাত্র সংগঠন করার প্রতি আমার চরম অনীহা তৈরি করে।
আজ বৃদ্ধ বয়সে এসে বেশি বেশি অনুভব করি, মহান আল্লাহ পাক আমাকে রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে রক্ষা করেছেন।

৪ বছরের কলেজ জীবনেও ছাত্র সংগঠনে জড়িত না থাকায় এর সুফল ভোগ করা শুরু করি। অর্থাৎ এতে আমার গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়। কলেজ কেন্দ্রীক ছাত্রদের অনুষ্ঠানে আমি সভাপতিত্ব করার সুযোগ লাভ করি। আমাদের সময় প্রায় দেড় শত মত ছাত্র কলেজের হোস্টেলে থাকত। প্রায় ১০/১২ জন অধ্যাপক মহোদয় থাকতেন। ২০/২৫ জন ছাত্রীও থাকত। অধ্যক্ষ মহোদয়সহ তিন জন শিক্ষকের পরিবার ঐ ছাত্রী হোস্টেল সংলগ্ন থাকতেন।

ডিগ্রীতে এসে ছাত্র সংখ্যা দ্রুত কমে যায়। যেখানে ইন্টারে আমাদের কর্মাস গ্রুপে প্রায় ২ শতের অধিক ছাত্র ছিল, সেখানে ডিগ্রীতে এসে মাত্র ৩০/৪০ জন ছাত্রতে এসে দাঁড়ায়। ডিগ্রীতে কম্পলসারি ৯ শত নাম্বারের মধ্যে শ্রদ্ধাভাজন অধ্যাপক আবদুল হাই একাউন্টিং, অধ্যাপক অমল সেন ম্যানেজমেন্ট এবং অধ্যাপক আলী হায়দার ইকোনোমিক্স পড়াতেন।

হোস্টেলের ছাত্ররা হোস্টেলের ডাইনিং হলে দুপুরে, রাত্রে খাবার খেত। একজন অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে থার্ড ইয়ার বা ফোর্থ ইয়ারের ছাত্র মাস অন্তর অন্তর ম্যানেজার হতেন। তিনি জমা-খরচ হিসাব রক্ষা করতেন। ২ জন বাবুর্চি সহযোগিতা করতেন। খাবারে হয়ত ইলিশ মাছ অথবা গরুর গোশত থাকত বেশি সময়। সাথে ডাল ও ভাত যে যতুটুকু খেতে পারে। তখন ইলিশ মাছ ছিল খুবই সস্তা। মাসের শেষে একবেলা ভাল খাবার দেয়া হত। ঐ ভাল খাবারে মুরগি, ডিম এবং কাচের বোতল আট আনা দামের কোক (কোকাকোলা) দেয়া হত। বোতলটি ফেরতযোগ্য। প্রতি মিলে পড়ত ৪৭ থেকে ৪৯ পয়সা। আমাকেও থার্ড বা ফোর্থ ইয়ারে এক মাসের জন্য ম্যানেজার হতে হয়েছিল। আমার তদারকির মাসে প্রতি মিলে বিল পড়েছিল ৪৩ পয়সা।

কলেজের প্রধান গেইটের বিপরীতে ব্যক্তি মালিকানাধীন ক্যান্টিন ছিল। তথায় ছাত্ররা সকাল বিকাল চা নাস্তা খেত। সকালের নাস্তাতে চিনি ছিটিয়ে দিয়ে ২ টা পরাটা ২ আনা,১ কাপ চা ১ আনা। মাঝে মধ্যে সুজির হালুয়া করলে ১ পিচ ১ আনা। নলকূপের পানি ছিল সুপেয়।

৩/৪ শ মিটার দূরত্বে সাতকানিয়া থানা সদর। তথায় একটি প্রসিদ্ধ রেস্টুরেন্ট ছিল। নাম এই ত গণি হোটেল। হোটেলের মালিক প্রবেশ পথে এক পাশে বসে থাকত। এ রেস্টুরেন্টে বিকেলে শত শত ছাত্র গোশত পরাটা খেত। ঐ সময় স্থানীয়রা কম আসত ছাত্রদের খেতে সুবিধা হবে বলে। ছাত্ররা রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতেই রেস্টুরেন্ট মালিক চিল্লায়ে তার স্টাফদের বলতেন,এই মাস্টসাব তানারে চেয়ার টেবিল ফুছি দ। অর্থাৎ মাস্টার সাহেবগণের সম্মানার্থে টেবিল চেয়ার মুছে দাও। বিকেলে এ রেস্টুরেন্টে গোশত পরাটা খেতে সিট পেতে অনেক সময় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হত।

গরম গরম ১ প্লেট গরুর গোশত ৪ আনা, ৩টি পরাটা ৩ আনা, ১ কাপ চা ১ আনা। পরাটা কম বেশি খেলে সেই অনুপাতে ১ আনা কম বেশি হবে।
উপজেলা সদরে কাপড়, স্টেশনারী দোকানদারেরা ছাত্রদের কল্যাণে নতুন নতুন ৪/৫ টি সাইকেল একটার সাথে আরেকটা লাগিয়ে রাখত। ছাত্রদেরকে ভাড়া প্রদান করত। ঘণ্টায় ৪ আনা, ১ বেলা হলে ১ টাকা, সারাদিন হলে ২ টাকা। ছাত্ররা নিকটে বা ১০/১৫ কি.মি দূরত্বে যাওয়া-আসা করত সাইকেল নিয়ে। আমারও এখান থেকে সাইকেল ভাড়া করে ৩ কি.মি দূরত্বে গারাংগিয়া যাওয়া-আসা হত শ্রদ্ধাভাজন গারাংগিয়া হুজুরদ্বয়ের মোলাকাত পেতে।

ছাত্ররা কলেজ থেকে রিক্সা নিয়ে আরাকান রোডে যেত। ঐ জংশনকে সাতকানিয়া রাস্তার মাথা বলা হত। রিক্সা ভাড়া নিত জনপ্রতি ৬ আনা ২ জন হলে ১২ আনা। রাস্তার মাথায় কক্সবাজার থেকে আসা কাঠের বাসে করে চট্টগ্রাম শহরে যেতে ভাড়া ২ টাকা ৪ আনা। কলেজ প্রদত্ত আইডি কার্ড দেখাতে পারলে ভাড়া হত অর্ধেক, ১ টাকা ২ আনা। রাস্তার মাথায় বাসের অপেক্ষায় থাকা হত। যেমনি জনসংখ্যা কম তেমনি বাসের সংখ্যাও কম। বিদেশ থেকে ইঞ্জিন চেসিস আমদানি করে বাদুরতলায় বাকলিয়ার মিস্ত্রিরা কাঠ টিন দিয়ে বাসের বডি তৈরি করতে প্রসিদ্ধ ছিল।

কঙবাজার দিক থেকে বাস আসলে ছাত্রদের দেখলে সিড়িতে দাড়ানো এসিসট্যান্ট বাস থেকে নেমে সরে দাড়াবে। ছাত্ররা বাসে উঠলে এসিসট্যান্ট বাস ভাড়া সংগ্রহ করা ব্যক্তি কন্ট্রাকটরকে চিল্লায়ে বলবে এই মাস্ট সাব তানারে সিট গরি দ। অর্থাৎ এই কন্ট্রাকটর মাস্টার সাহেব গণকে বসার ব্যবস্থা করে দাও।

বস্তুতঃ ১৯৬৬ সারের জুন থেকে ১৯৭০ এর জুন পর্যন্ত এ ৪ বছর ছাত্ররা কলেজ হোস্টেলের টাকা অনাদায়ী রেখেছে বা কলেজ গেইটের সম্মুখে ক্যান্টিনে চা নাস্তা খেয়ে পয়সা দেয় নাই, উপজেলা সদরে রেস্টুরেন্টে দোকানে ছাত্ররা চা নাস্তা খেয়েছে, কেনাকাটা করেছে কিন্তু পয়সা দেয় নাই এমন ঘটনা এ চার বছরে শোনা যায়নি। কলেজের অভ্যন্তরে বা কলেজের বাহিরে ছাত্রদের মধ্যে গন্ডগোল মারামারি, শিক্ষকগণের প্রতি অসাদাচরণ কল্পনায়ও ছিল না। ছাত্রদের মধ্যে সহাবস্থান, শিক্ষকগণের প্রতি সম্মান দীর্ঘ চার বছর প্রত্যক্ষ করি। আরও প্রত্যক্ষ করি কলেজের ১ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় জনগণ, ব্যবসায়ী, গাড়িচালকসহ প্রত্যেকের কাছে আমরা ছাত্রদের প্রতি আলাদা সম্মান বোধ। দোকানে ঢুকলে অন্য ক্রেতাকে থামিয়ে দিয়ে ছাত্রদের চাহিদা আগে পূরণ করে দিত। মনে হচ্ছিল আমরা ছাত্ররা একেক জন একেকটি ফুল।

আজ আমাদেরই সন্তান, নাতি, তারাও ছাত্র। তাদের মধ্যে এ পরিবেশ ও সহিংস, বিশৃংখল মন মানসিকতা কেন আসল? তাদের সাথে কেন ব্যবসায়ীদের, বাস ট্রেনের স্টাফদের সাথে ঝগড়াঝাটি মারামারি হবে? তারা কেন শিক্ষকগণের সাথে বেয়াদবী করবে? আজ দেশের লাখ লাখ ছাত্রদের নিয়ে দেশে যে পরিবেশ বিরাজ করতেছে তা ভাববার বিষয়। এ বিষয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ভাবতে হবে দেশের উঠতি বয়সী এ ছাত্রদের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে।
লেখক : প্রাবন্ধিক, গবেষক, কলামিস্ট

পূর্ববর্তী নিবন্ধদূরের টানে বাহির পানে
পরবর্তী নিবন্ধলামায় ডাকাতিকালে ৪ যুবক আটক