তিন দিনের প্রবল বর্ষণে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত হয়েছে। এতে শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই শতাধিক পান বরজ। মাতারবাড়ির বেশ কয়েকটি মার্কেটে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়েছে। গত দুইদিন ধরে বন্ধ রয়েছে পুরো দ্বীপের বিদ্যুৎ সংযোগ।
মাতারবাড়ির সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বারেক জানান, ভারী বর্ষণে মাতারবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। ইউনিয়নের প্রধান সড়কসহ অন্তত ৫/৬টি উপসড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকায় গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ইউনিয়নের নতুন বাজার সড়কের দুপাশে দোকান পাটে পানি ঢুকে পড়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। সড়কের দুপাশে নালা না থাকায় পুরো এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
অপরদিকে পাহাড়ি ঢলের পানিতে হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ার ছড়া ও বড়ছড়া এলাকার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। হোয়ানক বড়ছড়ার মো. ইব্রাহিম জানান, পাহাড়ি ঢলে বড় ছড়ার বাঁধ ভেঙে নূরানী মাদ্রাসা ও মসজিদসহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে পানি উঠেছে এবং বিস্তর ফসলি জমিতে বালি উঠে নষ্ট হয়েছে আমন ফসল। মহেশখালী পৌরসভার চরপাড়া, কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা ও শাপলাপুর ইউনিয়নের বারিয়াপাড়া এলাকায় বাড়িঘরে পানি উঠে প্লাবিত হয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চলের লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।