নগরীতে বান্ধবীর ওপর অভিমান করে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। সোনিয়া দাশ (১৮) নামে ওই ছাত্রী নগরীর প্রবর্ত্তক সংঘের আবাসিক হোস্টেলে থাকতো। তবে অপর একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, হোস্টেল কর্তৃপক্ষ তার থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ায় সে আত্মহত্যা করতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ভোর রাতে নিজ কক্ষের ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে সোনিয়া। গতকাল শুক্রবার ভোরে আবাসিক হোস্টেলের পঞ্চম তলা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। সোনিয়া সাতকানিয়া উপজেলার আমিলাইষ এলাকার লালু দাশের মেয়ে।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবিরুল ইসলাম আজাদীকে জানান, সোনিয়া নিজ কক্ষের ফ্যানের লোহার আংটার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ভোর রাতের কোনও এক সময়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তার রুম থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছি। সেখানে তার এক বান্ধবীর সাথে তার মান অভিমানের কথা লেখা আছে। হয়তো সেই ক্ষোভ থেকেই সে আত্মহত্যা করতে পারে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে একটি ইউডি মামলা করা হবে।
অন্যদিকে সুরতহাল প্রস্তুতকারী পাঁচলাইশ থানার এসআই আব্দুল মান্নান জানান, প্রবর্ত্তক সংঘে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। গত এপ্রিল মাসে সোনিয়ার কাছ থেকে প্রবর্ত্তক কর্তৃপক্ষ ফোনটি নিয়ে নেয়। এই নিয়ে তার মধ্যে ক্ষোভ ছিল। সে কারণেও সে আত্মহত্যা করতে পারে।