সেপ্টেম্বরে জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে যাওয়ার আগেই ‘বাংলাদেশ–ভারত মৈত্রী সেতু–১’ দিয়ে যাত্রী চলাচল শুরু করার পদক্ষেপ নেবে সরকার। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে গতকাল সচিবালয়ে বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রামগড় মৈত্রী সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী উদ্বোধন করেছিলেন। এখানে আমাদের সব অবকাঠামো হয়ে গেছে, কাস্টমসে চলে গেছে। শুধু ইমিগ্রেশনের কারণে আমরা এটি চালু করতে পারছি না। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা চালু করে ফেলতে পারব। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন। তার (সফরের) আগেও কিছু কিছু বিষয় আছে। এগুলো আমরা শেষ করতে পারি। এ কথাগুলো আলোচনা হয়েছে। যেহেতু দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করেছেন, আমরা চাই প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই যেন আমরা এটার অপারেশনে চলে যেতে পারি। এ ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।
খাগড়াছড়ির রামগড় এবং ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুমের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক সেতু ‘বাংলাদেশ–ভারত মৈত্রী সেতু–১’। ২০২১ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি এই সেতুর উদ্বোধন করেন। ২০১৫ সালের ৬ জুন এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তারা।
দুই দেশ একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করছে জানিয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আশুগঞ্জে এবং মোংলা পোর্টে কাজ হচ্ছে। এর বাইরেও বে টার্মিনালের বিষয়েও তারা আগ্রহ দেখিয়েছে। গোমতী নদী খননের ব্যাপারে তারা অর্থায়নের আগ্রহ দেখিয়েছে। এর বাইরেও আমাদের আশুগঞ্জের যে রাস্তাটা আছে সেটা আমাদের বাংলাদেশের অর্থায়নে হচ্ছে। পোর্টটা ইন্ডিয়ান অর্থায়নে হচ্ছে। সেখানে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলোর ব্যাপারে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে, যেন এগুলো আমরা দ্রুত করতে পারি।
তিনি বলেন, আমাদের ক্রুজ সার্ভিসে অনেকের আগ্রহ আছে। বেশ কয়েকটি বেসরকারি অপারেটর আমাদের কাছে আবেদন করেছে। তারা বাংলাদেশ থেকে কলকাতা পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার বা ট্যুরিস্ট যেভাবেই হোক না কেন যেতে যায়। ভিসার ব্যাপারে আমরা বলেছি, তারা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে।
বন্ধ থাকা দিনাজপুরের বিরল–রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন পুনরায় চালুর বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে হাইকমিশনার ব্যবস্থা নেবেন। অনেকগুলো স্থলবন্দরে আমাদের ইমিগ্রেশন চালু ছিল। কোভিডের সময় সেগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিছু কিছু চালু হয়েছে, কিছু কিছু এখনো হয়নি। এগুলো যেন দ্রুত চালু করা হয় সে ব্যাপারে কথা হয়েছে। বিশেষ করে বিরল–রাধিকাপুর। এটা আমি বলেছি, কারণ এটা চালু ছিল। বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কয়েক হাজার কিলোমিটার তাদেরকে পাড়ি দিতে হচ্ছে। এগুলোর ব্যাপারে তিনি (হাইকমিশনার) পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।