প্রধানমন্ত্রীর নামে হবে সড়ক

অধ্যাপক খালেদ চত্বর সংরক্ষিত হবে প্রকৌশল বিভাগ নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৩১ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ

নগরের বারিক বিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কের নাম ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়ক’ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চটগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত সংস্থাটির বর্তমান পর্ষদের ১২তম সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভার সভাপতি সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর নামে সড়কের নামকরণের প্রস্তাব করেন। তাতে কাউন্সিলরগণ সম্মতি দিলে তা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
সভায় নগরের জিইসি মোড়ে দৈনিক আজাদীর প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ চত্বর সংরক্ষণের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০১২ সালের ৬ জুলাই এ চত্বর উদ্বোধন করেন তৎকালীন সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। তখন সেখানে একটি স্মৃতিফলক দেওয়া হয়। স্মৃতিফলকটিতে লেখা ছিল, ‘বিবেকের বাতিঘর, বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সাবেক সদস্য, সাবেক এমপি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার গভর্নর, দৈনিক আজাদীর কিংবদন্তি সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ স্মরণে’।
জানা গেছে, ওই চত্বরকে ঘিরে সৌন্দর্যবর্ধনে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে চসিক। প্রতিষ্ঠানটি সেখানে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে বিজ্ঞাপনের সাইনবোর্ড বসায়। এছাড়া অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের স্মৃতিফলকটি সরিয়ে ফেলে। বিষয়টি দৃষ্টিতে এলে সিটি মেয়র গতকালের সাধারণ সভায় এ চত্বর সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত দেন।
এছাড়া দৈনিক পূর্বকোণের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী চত্বর সংরক্ষণ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণাকারী এম এ হান্নানের কবরে তাঁর কীর্তি সম্বলিত নামফলক স্থাপনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের যেসব বরণীয় মহান ব্যক্তি অবদান রেখেছেন তাদের স্মৃতি রক্ষায় কৃতিত্বের বিবরণ সম্বলিত স্মৃতিফলক স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।
সভায় গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, আধুনিকায়নকৃত মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল পরিচালনার জন্য একটি প্রশাসনিক কমিটি, চসিকে প্রকৌশলী নিয়োগে করণীয় নির্ধারণে কমিটি, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য থেকে আদর্শ কর তপশীলের আওতায় কাস্টমসের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের উপায় খোঁজা। সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় চসিকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে চুক্তি না মেনে কাজ করা ছয় প্রতিষ্ঠানের চুক্তি বাতিলে নগর ও পরিকল্পনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সুপারিশও গৃহীত হয়।
সভায় উপস্থিত একাধিক কাউন্সিলর আজাদীকে বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত পদস্থ বেশ কয়েকজন প্রকৌশলী অবসরে যাবেন। যা শহরে চলমান উন্নয়ন কাজ তদারকিতে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এদিকে পদোন্নতি ও নিয়োগ নিয়েও আইনগত জটিলতা আছে। এ অবস্থায় ভবিষ্যতে শূন্য পদগুলো কীভাবে পূরণ করা যায় সে বিষয়ে মতামত জানাতে তিন সদস্যের একটি গঠন করা হয় সভায়। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব ও প্রধান প্রকৌশলী। দ্রুত সময়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেন মেয়র।
‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়ক’ নামকরণ প্রসঙ্গে সভায় মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। বিশেষ করে কোনোরূপ ম্যাচিং ফান্ড ছাড়াই সিটি কর্পোরেশনের আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ বারিক বিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়ক ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়ক’ নামকরণের প্রস্তাব করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুইস ব্যাংকে কারা টাকা রেখেছেন জানতে চান হাইকোর্ট
পরবর্তী নিবন্ধগৃহকর ইস্যুতে সরব সাধারণ সভা