টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির শেষ দুটি সুযোগের প্রথমটিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ দল। কদিন আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে আসা বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে কিছুটা হলেও উন্নতি ঘটবে বলে আশা করেছিল সবাই। কিন্তু সে আশাকে হতাশায় পরিণত করল সাকিবের দল। সেই আফগানিস্তানের কাছে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ৬২ রানের বড় পরাজয়ই বরণ করলো টাইগাররা। ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে কিছুটা উন্নতি হলেও অস্ট্রেলিয়ায় এসে সেটা আবার আগের জায়গায় ফিরে গেল।
আফগানরা প্রথমে ব্যাট করে ১৬০ রান করলেও বাংলাদেশ থেমেছে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান করে। মোসাদ্দেক হোসেন সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন। এক সময় ৪৭ রানেই ৭ উইকেট হারিয়েছিল টাইগাররা। দলের ছয়জন ব্যাটসম্যান দুই অংকের ঘরে যেতে পারেনি। তাদের মধ্যে আবার আফিফ এবং ইয়াসির আলি রাব্বি ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। তাও আবার মাত্র একবল মোকাবেলা করে। নবম উইকেটে মোসাদ্দেক এবং মোস্তাফিজের ২৭ রানের জুটিটা না হলে আরো বড় লজ্জা পেতে হতো বাংলাদেশকে।
ব্রিসবেনের অ্যালান বোর্ডার মাঠে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা আফগানদের শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি। ১৯ রানে উদ্বোধনী জুটি ভেঙ্গে দেন তাসকিন আহমেদ। তিনি ফেরান ১৫ রান করা হজরতুল্লাহ জাজাইকে। দ্বিতীয় উইকেটে রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান মিলে ৪৩ রান যোগ করেন। এজুটি ভাঙ্গেন সাকিব। তিনি ফেরান ২০ বলে ২৬ রান করা গুরবাজকে। ব্যাট হাতে ঝড় তোলা ইব্রাহিম জাদরানকে ফেরান হাসান মাহমুদ। ৩৯ বলে ৪৬ রান করে তিনি যখন ফিরেন তখন আফগানদের সংগ্রহ ১৪.৪ ওভারে ১০৪ রান। এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। মূলত তার মাত্র ১৭ বলে একটি চার এবং ৫টি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৪১ রানের সুবাধে ১৬০ রান করে আফগানরা। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন নেন ৩০ রানে ৩ উইকেট।
১৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ইনিংস ওপেন করতে পাঠিয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মেহেদী হাসান মিরাজকে। দুজন ১৯ রান যোগ করেন। ৯ বলে ১২ রান করে ফিরেন শান্ত। এরপর কেবলই আসা যাওয়া করেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে এবং পঞ্চম ওভারের শেষ দুই বলে মাত্র ৭ বলের ব্যবধানে যথাক্রমে সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান এবং আফিফ হোসেনকে হারিয়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। ইয়াসির আলি এসে সে দলে যোগ দিলে ২৮ রানে নেই বাংলাদেশের ৫ উইকেট। নুরুল হাসান সোহান এবং মোসাদ্দেক হোসেন একটু চেষ্টা করলেও কাজে আসেনি সেটা। সোহান ফিরেছেন ১৩ রান করে। এরপর মোসাদ্দেকের কল্যানে বড় লজ্জা থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। এছাড়া ইনিংস ওপেন করতে নামা মিরাজ করেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সাথে সম্পূর্ণ বেমানান ৩১ বলে ১৬ রান। আর তাতেই ৯৮ রানে থামে বাংলাদেশ। আফগানদের পক্ষে পেসার ফরিদ আহমেদ নিয়েছেন ৯ রানে ৩ উইকেট। নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল।