একাদশ শ্রেণি ভর্তিতে প্রথম পর্যায়ের আবেদনের ফলাফল গতকাল (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে (www.xiclassadmission.gov.bd) ফলাফল দেখার সুযোগ পাচ্ছে ভর্তিচ্ছুরা। ওয়েবসাইটে আবেদনকারীর রোল নম্বর, বোর্ড, পাসের সাল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়েই এ ফলাফল পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া গতকাল থেকে মুঠোফোনের এসএমএস–এর মাধ্যমেও ফল পাওয়া যাচ্ছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব–কমিটির তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য চট্টগ্রামের ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৪৯ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করে।
এদিকে, মেধা তালিকায় ঠাঁই পেলেই কলেজে ভর্তি নিশ্চিত নয়, এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে ভর্তিচ্ছুদের। তাই মেধা তালিকায় সুযোগ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হলেই চলবে না, ভর্তি নিশ্চিত করতে হলে সম্পন্ন করতে হবে আরো কিছু প্রক্রিয়া। নয়তো মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার পরও সুযোগ হারাতে হতে পারে কাঙ্ক্ষিত কলেজে ভর্তির। এমনকি বাতিল হতে পারে আবেদনও। সে কথাই বলা আছে একাদশ শ্রেণির ভর্তি নির্দেশনায়। ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এ নির্দেশনা দেয়া আছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব–কমিটির প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী, ১ম পর্যায়ের তালিকায় মনোনীত শিক্ষার্থীদের আজ (১ জানুয়ারি) থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে তাদের ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। আর এই নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে টেলিটক বা মোবাইল ব্যাংকিং সোনালী ব্যাংক, রকেট, নগদ, বিকাশ ও শিওর ক্যাশের মাধ্যমে বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৩২৮ টাকা ফি প্রদানের মাধ্যমে। ১ জানুয়ারি (আজ) থেকে এ ফি গ্রহণ করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ের (৮ জানুয়ারি) মধ্যে বোর্ডের এ ফি প্রদান করে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। তাই মনোনীত হওয়া (তালিকায় স্থান পাওয়ার পর) শিক্ষার্থী কর্তৃক ভর্তি নিশ্চায়নের বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক। তিনি আজাদীকে বলেন, একজন শিক্ষার্থী একটি কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হওয়ার পরও নির্দিষ্ট সময়ের (প্রথম মেধা তালিকার জন্য ৮ জানুয়ারি) মধ্যে বোর্ডের ফি বাবদ ৩২৮ টাকা প্রদান করে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে ব্যর্থ হলে তার মনোনয়ন বাতিল বলে গণ্য হবে। পাশাপাশি তার আবেদনটিও বাতিল হয়ে যাবে। তাই মনোনীত হওয়ার পর ভর্তি নিশ্চায়নের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। এটি কেবল ১ম পর্যায়ের ফলাফলে মনোনীত হওয়াদের (মেধা তালিকায় স্থান পাওয়াদের) ক্ষেত্রেই নয়, সবকয়টি মেধা তালিকায় স্থান পাওয়াদের এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। অর্থাৎ কলেজে ভর্তির জন্য তালিকায় স্থান পেলেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বোর্ডের ফি বাবদ ৩২৮ টাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে অবশ্যই জমা করতে হবে। আর তা দিতে হবে টেলিটক ও মোবাইল ব্যাংকিং সোনালী ব্যাংক, রকেট, নগদ, বিকাশ ও শিওর ক্যাশের মাধ্যমে মাধ্যমে। বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন বাবদ এ ফি প্রদানের প্রক্রিয়া ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এ দেয়া আছে।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় সাব–কমিটির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিতদের ভর্তি নিশ্চায়ন শেষে ৯ থেকে ১০ জানুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত ২য় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ২য় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ শেষে ১২ জানুয়ারি রাত ৮টায় প্রথম পর্যায়ের মাইগ্রেশনের ফল ও ২য় পর্যায়ে মনোনিতদের ফল প্রকাশ করা হবে।
২য় পর্যায়ে মনোনীতদের ১৩ থেকে ১৪ জানুয়ারি রাত ৮টার মধ্যে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। এই সময়ে ভর্তি নিশ্চায়ন না করলে মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ওই (মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হওয়া) শিক্ষার্থীকে পুনরায় ফি দিয়ে ৩য় পর্যায়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে। ১৬ জানুয়ারি একদিন ৩য় পর্যায়ে আবেদন করা যাবে।
আবেদন গ্রহণ শেষে ১৮ জানুয়ারি রাত ৮টায় ২য় পর্যায়ের মাইগ্রেশনের ফল ও ৩য় পর্যায়ে মনোনিতদের ফল প্রকাশ করা হবে। ৩য় পর্যায়ে মনোনীতদের ১৯ থেকে ২০ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। এই সময়ে ভর্তি নিশ্চায়ন না করলে মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। চূড়ান্তভাবে মনোনিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলবে ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে একাদশে ক্লাস শুরু হবে।