বান্দরবানের শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের সরানো শুরু হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু গ্রামে আশ্রয় নেওয়া ১৮৪ জন রোহিঙ্গাকে ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠানো হয়। গতকাল দুপুরের মধ্যে তারা সেখানে পৌঁছে।
প্রথম দিন তুমব্রু গ্রামে আশ্রয় নেয়া ৩৬টি পরিবারের ১৮৪ জন রোহিঙ্গাকে সরানো হয়। ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজের তত্ত্বাবধানে তাদের ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হয়েছে। এ সময় পুলিশ প্রহরায় ২টি বাস এবং ২টি ট্রাকযোগে তাদের মালামালও নেয়া হয়। স্থানান্তর কার্যক্রমের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. ছামসুদদৌহা, কুতুপালং ৫ নং ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিআইসি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) প্রীতম সাহা প্রমুখ।
ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ১৮৪ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন টিভি টাওয়ারের পাশে অবস্থিত ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হয়েছে। আজ সোমবার দ্বিতীয় পর্বে ৫৩ পরিবারের ২৭৩ জন রোহিঙ্গাকে ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তরের জন্য কার্ড প্রদান করা হয়েছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. ছামসুদদৌহা বলেন, শূন্যরেখায় অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গারা পালিয়ে তুমব্রু গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন টিভি টাওয়ারের পার্শ্ববর্তী ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যদের ট্রানজিট ক্যাম্পে সরিয়ে নেয়া হবে। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরসা ও আরএসওর সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গত ১৮ জানুয়ারি শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পটি পুড়িয়ে দেয়ায় শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা তুমব্রু গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় নেয়। তুমব্রুতে ৫৫৮ পরিবারের ২৯৭০ জন রোহিঙ্গা অবস্থান করছিল। এদের মধ্যে ৩৭৭ রোহিঙ্গা পরিবারের ২ হাজার ৯৮ রোহিঙ্গা নিবন্ধিত। বাকি ১৭৯ পরিবারের ৮৭২ জন রোহিঙ্গা অনিবন্ধিত।