নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় নারী ও পুরুষের সংখ্যা সমান হল। ২০২০ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অরডার্নের অধীনে দেশটি তাদের সবচেয়ে বৈচিত্রপূর্ণ পার্লামেন্ট নির্বাচন করেছিল; সেই পার্লামেন্টে নারী, মাউরি আদিবাসী ও সমকামী সদস্যের সংখ্যা বেড়েছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। এখন দেশটি তাদের গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার নিয়ে থাকা মন্ত্রিসভায়ও লিঙ্গ সমতা পেল; নিউ জিল্যান্ডের মন্ত্রিসভায় স্থান পান জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা, যারা গুরুত্বপূর্ণ নীতি, আইন ও সরকারি ব্যয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন। খবর বিডিনিউজের।
জানা যায়, গত সোমবার বিকালে দেশটির এখনকার প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স মন্ত্রিসভায় সর্বশেষ রদবদলে এমপি উইলো–জঁ প্রাইমকে সংরক্ষণ বিষয়ক মন্ত্রী করার ঘোষণা দিলে মন্ত্রিসভায় নারী ও পুরুষের সংখ্যা সমান সমান হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স বলেন, এর মানে হচ্ছে, আমরা আরও নিবিড়ভাবে জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করছি। আমি মনে করে, একটি চমৎকার মাইলফলক অর্জিত হয়েছে। আমরা এই মেয়াদেই এই পার্লামেন্টে ৫০–৫০ প্রতিনিধিত্ব অর্জন করেছি, আমার মনে হচ্ছে এটি স্বাগত জানানোর মতো বিষয়, আর এখন আমাদের মন্ত্রিসভার টেবিলের চারপাশেও সেই ধরনের প্রতিনিধিত্ব আছে।
মন্ত্রিসভার বাইরের মন্ত্রীদের হিসাবে নিলে নিউ জিল্যান্ডের নির্বাহী বিভাগে এখন পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি, বলেছেন এ কিউই প্রধানমন্ত্রী।
২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর দেশটিতে ব্যাপক বৈচিত্রপূর্ণ নির্বাহীদের ক্ষমতায় উঠে আসতে দেখা যায়। সেবার নির্বাচিত পার্লামেন্টের প্রায় ১০ শতাংশ সদস্য নিজেদের সমকামিতার কথা প্রকাশ্যে বলছেন। এদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী গ্র্যান্ট রবার্টসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও আছেন।
ওই নির্বাচনে নিউ জিল্যান্ডের ১২০ আসনের পার্লামেন্টে আদিবাসী মাউরি সম্প্রদায়েরই ২৫ জন জিতে আসেন, যা মোট আসন সংখ্যার ২০ শতাংশেরও বেশি। এছাড়াও এই পার্লামেন্টে প্রশান্ত মহাসাগরীয় জনগোষ্ঠীর ৯ শতাংশ এবং চীনা, ইরিত্রিয়া, ভারতীয়, ইরানি, কোরীয়, মালদ্বীপ, মেঙিকো ও শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূতসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর আরও ৯ শতাংশ এমপি স্থান পেয়েছে।