ঈদের আগে রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ব্রয়লার মুরগির। বাড়তি চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে গত কয়েকদিনের ব্যবধানে মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগির এমন দাম বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক বলছেন ভোক্তারা। তবে মুরগি বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় মুরগির সরবরাহ কম, তাই দাম বাড়তি। পাইকারিতে দাম বেড়েছে, তাই খুচরাতে এর প্রভাব পড়েছে।
গতকাল নগরীর কয়েকটি মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। এছাড়া দেশি মুরগির কেজি ৬২০ টাকা এবং সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৯০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি ব্যবসায়ী ও ফার্মের মালিকরা খাবারের দাম ও সরবরাহের খরচ বৃদ্ধির কথা বলে মুরগির দাম বাড়িয়ে যাচ্ছেন। ফলে বেশি দামে কিনে খুচরা বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
কাজীর দেউরি বাজারের মুরগি বিক্রেতা সৈয়দ আলী বলেন, বাজারে আগের তুলনায় মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। মুরগির খাদ্যের দামও বেড়ে গেছে। যার ফলে মুরগির উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেকে মুরগির শেডে বাচ্চা তুলেননি। তাই ঈদের আগে বাড়তি চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না খামারীরা। ফলে সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে।
শফিকুল ইসলাম নামের একজন ক্রেতা জানান, এক কেজি ২৬০ টাকা, কল্পনা করা যায় না। মাংসের দাম অনেক মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নাগালের বাইরে চলে গেছে। মুরগির ক্ষেত্রেও এখন একই অবস্থা।