প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ১১ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

মধুর প্রতিশোধ নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল নিউজিল্যান্ড। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের প্রতিশোধটা কিউরা নিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। যাকে বলা যায় চরম প্রতিশোধ। যে প্রতিশোধের অপেক্ষায় ছিল এতোদিন নিউজিল্যান্ড। গতকাল মরুর বুকে ঝড় তোলে ইংলিশদের দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ভেঙে দিল কিউইরা। ফলে প্রথমবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল কেন উইলিয়ামসনের দল। আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচের ১৬ ওভার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ ছিল ইংল্যান্ডর। কিন্তু ১৭তম ওভারে ওলট পালট হয়ে যায় সবকিছু। মিচেলের তাণ্ডবে নিউজিল্যান্ড জায়গা করে নেয় ফাইনালে। পুরো এক ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড। টেস্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডের সামনে এখন টি-টোয়েন্টির বিশ্ব সেরা হওয়ার সুযোগ।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড শুরুটা ভালো করতে পারেনি। দুই ওপেনার বিচ্ছিন্ন হন ৩৭ রানে। ১৩ রান করা জনি বেয়ারেস্টোকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মিলনে। ডেভিড মালানকে নিয়েও বেশিদূর এগুতে পারেননি জস বাটলার। ৫৩ রানের মাথায় ইশ শোধির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফিরেন বাটলার। ২৪ বলে ২৯ রান আসে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ডেভিড মালান এবং মঈন আলি। ৬৩ রান যোগ করেন এ দুজন। ৩০ বলে ৪টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৪১ রান করে ফিরেন মালান। এরপর বলতে গেলে একাই দলকে টেনে নিয়ে গেছেন মঈন আলি। ১৭ রান করা লিভিংস্টোন কিছুটা সঙ্গ দিয়েছিলেন মঈন আলিকে। শেষ পর্যন্ত নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে দলকে ১৬৬ রানে নিয়ে যান মঈন আলি। ৩৭ বলে ৩টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন মঈন আলি। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে কোন বোলারই একাধিক উইকেট পাননি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাউদি, মিলনে, শোধি এবং নিশাম। ১৬৭ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারেই মার্টিন গাপটিলকে হারায় নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় ওভারে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন দলকে বিপদে ফেলে ফিরেন মাত্র ৫ রান করে। ১৩ রানে দুই উইকেট নেই কিউইদের। তৃতীয় উইকেটে মিচেল এবং কনওয়ে মিলে বেশ ভালই এগিয়ে যাচ্ছিলেন।
৬৬ বলে ৮৫ রান যোগ করেছিলেন দুজন। এ জুটি ভাঙেন লিভিংস্টোন। এগিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন কনওয়ে। ৩৮ বলে ৫টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৪৬ রান করে ফিরেন কনওয়ে। ফিলিপসও এসে পারলেন না মিচেলকে সঙ্গ দিতে। লিভিংস্টোনকে ছক্কা মারতে গিয়ে ফিরলেন মাত্র দুই রান করে।
১৬ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের রান ছিল ৪ উইকেটে ১১০। কিন্তু ক্রিস জর্দানের করা ১৭ তম ওভারে ২৩ রান তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। ফলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আবার চলে যায় কিউইদের হাতে। আদিল রশিদের করা পরের ওভার থেকে ১৪ রান তুলে নেয় মিচেল এবং নিশাম। সে ওভারের শেষ বলে ফিরেন নিশাম। মরগ্যানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১০ বলে একটি চার এবং তিনটি ছক্কার সাহায্যে ২৬ রান করে আসেন নিশাম।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করে যাচ্ছিলেণ মিচেল। ওকসের করা ১৯ ওভারের প্রথম চার বলে মিচেল তুলে নেন ১৫ রান। পরের বলে স্যান্টনার এক রান নিয়ে আবার স্ট্রাইক দেন মিচেলকে। ওভারের শেষ বলে চার মেরে দলকে নিয়ে যান ফাইনালে। ৪৮ বলে ৪টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৭৩ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন মিচেল। ফলে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হলো ইংল্যান্ডকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাকিস্তানের সামনে আজ অস্ট্রেলিয়া
পরবর্তী নিবন্ধজোড়াতালির সংস্কারে বেড়েছে দুর্ভোগ