প্রতিটি বিভাগে মেরিন একাডেমি চালু হবে : প্রধানমন্ত্রী

মেরিন একাডেমির ৫৬তম ব্যাচের কুচকাওয়াজ

| সোমবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার ইচ্ছে আছে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেরিন একাডেমি চালু হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা শুধু প্রশিক্ষিত হবে না, দেশে-বিদেশে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ৫৬তম ব্যাচের ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ (মুজিববর্ষ গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড) অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল সকালে মেরিন একাডেমিতে কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে সালাম গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। খবর বাংলানিউজের।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলেছি। ডিজিটাল পদ্ধতিতে আপনাদের সামনে এসেছি। করোনাকালে আমরা অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পেরেছি ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে। বাঙালি জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু। ৭ মার্চের ভাষণে যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা অনুসরণ করে এদেশের মানুষ বিজয় অর্জন করে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছিলেন। সমুদ্রসীমা অর্জনের পরিকল্পনা করেছিলেন। পাকিস্তান সরকার এ মেরিন একাডেমি করাচিতে স্থানান্তর করেছিল। ‘জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে এ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। বিএসসি প্রতিষ্ঠা করেন। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের মাইন মুক্ত করে বন্দর চালু করেছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়া এ কাজে সহায়তা করে, তাদের দুজন এক্সপার্ট মারাও যান। ড্রাইডকের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বিএসসির জন্য ১৯টি জাহাজ সংগ্রহ করেন। সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধান শুরু করেন। জাতির পিতার গড়া আইন ছিল বিশ্বের অনেক দেশের মেরিটাইম সীমা নির্ধারণে সহায়ক। জাতিসংঘ স্বল্পতম সময়ে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি দিয়েছিল। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমরা আপনজন হারিয়েছি, দেশ হারিয়েছিল উন্নয়ন। এরপর যারা এসেছিল দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিতে ব্যস্ত ছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথমবার সরকার গঠন করে ব্যাপক পদক্ষেপ নিই। আমাদের সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে একাডেমি সাদা তালিকাভুক্ত হয়। পরে যখন আবার সরকার গঠন করি ২০১২ সালে নারী ক্যাডেট ভর্তি শুরু করি। তারা সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। আশা করি হাইটেক সমুদ্রগামী জাহাজ পরিচালনার কারিকুলাম মেরিন একাডেমি চালু করবে।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি ৪টি নতুন মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন। নারী ক্যাডেটদের ভর্তির সুযোগ দিয়েছেন। বিএসসির ৬টি জাহাজে ২ জন করে নারী ক্যাডেট সমুদ্রে অবস্থান করছেন। সুনীল অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন তারা।
নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম বন্দরে ডুবন্ত মাইনে অকেজো হয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধু মাইন অপসারণ করে বন্দর সচল করেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে বিএসসির বহরে ৬টি জাহাজ যুক্ত হয়েছে। আরও ৬টি মাদার ভ্যাসেল সংগ্রহের প্রক্রিয়া অনেকদূর এগিয়েছে। আপনার নির্দেশনায় নারী ক্যাডেট ভর্তি শুরু হয়। এখন নারী ক্যাডেটরা এলএনজি, এলপিজিসহ বিভিন্ন জাহাজে কাজ করছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৬ কলেজে শতভাগ পাস
পরবর্তী নিবন্ধমাসের শেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আশা প্রধানমন্ত্রীর