প্রকৃতির সাথে মৈত্রী সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে

আসাদুজ্জামান চৌধুরী সম্রাট | সোমবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৪২ পূর্বাহ্ণ

প্রকৃতি তার উদার অকৃপণ হাতে অপরূপ সৌন্দর্যের মাধুর্য ছড়িয়ে সমৃদ্ধ করেছে আমাদের ভুবনকে। মানুষের জন্ম এই বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির কূলে ঘটছে। শুধু তাই নয়, মানুষসহ সকল প্রাণীর অস্তিত্ব প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কাল পরিক্রমায় এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে মানুষ প্রকৃতিকে করছে প্রতিনিয়ত নির্মম কুঠারাঘাত। একইসাথে মানুষ প্রকৃতিকে ব্যক্তিস্বার্থে প্রতিনিয়ত ব্যবহার ও পরিবর্তন করে নগর সভ্যতা গড়ে তুলছে। ফলে মানুষ নির্বিচারে বৃক্ষনিধন ও বনউজাড়করণ করে নিমার্ণ করছে ঘরবাড়ি, নদীর গতিপথকে নিয়ন্ত্রণ করছে বাঁধ দিয়ে, পাহাড়কে কেটে তৈরি করছে সমতল ভূমি, জলাভূমি ভরাট করে ফেলছে। এইভাবে প্রাকৃতিক সম্পদের অপরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করতে গিয়ে মানুষ নষ্ট করছে প্রকৃতির ভারসাম্য এবং জীববৈচিত্র্য। তাছাড়া পানি, বায়ু, মাটিসহ দূষিত করছে প্রকৃতির অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এক কথায় মানুষ অপরিবেশবান্ধব কাজ করে প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে বৈরি আচরণ করছে। ফলশুতিতে একবিংশ শতাব্দীতে প্রকৃতির প্রাণিকূল ও উদ্ভিদকূলের অস্তিত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। বর্তমানে বিশ্ব প্রকৃতির সিংহভাগ প্রায় রুক্ষ, বিবর্ণ ও অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। একইসাথে প্রাকৃতিক পরিবেশে সংকট গোটা বিশ্ব জুড়ে দৃশ্যমান। এ সংকট থেকে পরিত্রাণের জন্য মানব সমাজকে প্রকৃতির সাথে বৈরিতা না করে, বরং প্রকৃতির সাথে মৈত্রী বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। ফলে প্রকৃতির সম্পদের সুরক্ষা এবং পরিবেশবান্ধব ব্যবহার নিশ্চিত হবে। একইসাথে বিশ্ব রাষ্ট্রনেতাসহ সাধারণ মানুষের অন্তঃকরণে প্রকৃতির নিয়ম মেনে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন ও জীবনযাপন করার প্রবণতাও বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। যা প্রাণীজগৎ ও উদ্ভিদজগতের টেকসই অস্তিত্ব রক্ষার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী চলমান মানবসভ্যতার অগ্রগতিকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই সকল মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গে কোনো প্রকার বৈরি আচরণ না করে, বরং মৈত্রী বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। লেখক: শিক্ষার্থী

পূর্ববর্তী নিবন্ধতক্তারপুল ব্রীজটি নির্মাণ করা হোক
পরবর্তী নিবন্ধকমলকুমার মজুমদার : স্বাতন্ত্র্যের সন্ধানী ঔপন্যাসিক