দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে স্থগিত হওয়া পৌরকর পুনর্মূল্যায়নের বিষয়ে নতুন করে তৎপর হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ইতিমধ্যে বর্ধিত হারে কর আদায়ে আপীলের শুনানির জন্য ভবন মালিকদের নোটিশ দিচ্ছে এবং শুনানিও চলছে আপিলবোর্ডে। উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে সামরিক সরকারে আমলে জারী করা ট্যাক্সেশন রুলসের একটি ধারার দোহাই দিয়ে ঘরের মেঝের আয়তনের পরিবর্তে ঘরভাড়ার উপর কর ধার্যের প্রস্তাব করিলে এর বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন গড়ে উঠে। এমনকি এর প্রকাশ্যে বিরোধীতাও করেন সাবেক নন্দিত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এক পর্যায়ে এ আন্দোলনে সামিল হন করদাতাদের নিয়ে গঠিত সংগঠন চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদও। শেষ পর্যন্ত আপত্তির মুখে গত ১০ ডিসেম্বর ১৯৯৭ তারিখে তা স্থগিত করা হয় মন্ত্রণালয়ের এক আদেশ বলে।
এদিকে পৌরকরের এ বিষয়টি নতুন করে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে ভবন মালিকসহ ভাড়াটিয়াদের মাঝেও নানা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ এ ব্যাপারে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তারা আবার আগের মত মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। বলা বাহুল্য নতুন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী দায়িত্ব গ্রহণের আগে এবং পরেও কোনো কর বৃদ্ধি করা হবে না মর্মে ঘোষণা দিলেও তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।
তার বক্তব্য সুষ্পষ্ট হওয়া উচিত। এদিকে পৌর কর নিয়ে সাধারণ মানুষ ‘ঘরের মেঝের আয়তনে না কি ঘর ভাড়ার ভিত্তিতে ধার্য হবে’ তা নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েছে। কারণ দেশ এখন ক্রান্তিকাল পার করছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে জনজীবনে নাভিশ্বাস নেমে এসেছে ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছুই লাটে উঠেছে। আর্থিক সক্ষমতা কমে যাওয়ায় বাসা বাড়ি ছেড়ে মানুষ গ্রামে পাড়ি দিচ্ছে বিধায় নগরবাসীর মানবিক ও সার্বিক দিক বিবেচনা করে আগের অর্থাৎ জননেতা মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর নিয়মে কর ধার্য কিংবা এই সংক্রান্ত বিষয়ে দায়েরকৃত একটি মামলায় আদালতের দেওয়া পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ১০ শতাংশ বৃদ্ধি বিষয়টি বিবেচনার জন্য নতুন মেয়রের নিকট আবেদন জানাচ্ছি।
মো: শফিকুর রহমান
রেলওয়ে কলোনী
সিআরবি, চট্টগ্রাম।