বন্দর থানাধীন নিমতলা এলাকার পোর্ট কানেক্টিং রোড থেকে ৯ বস্তা সরকারি চালসহ এক যুবককে আটক করেছে সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থা। সরকারের খাদ্য বিভাগের আমদানিকৃত এসব চাল কীভাবে বাজারে গেল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বন্দর থানা পুলিশ। দেশে চালের বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা গড়ে তুলতে সরকার মিয়ানমার
থেকে দুই লাখ টন, থাইল্যান্ড থেকে এক লাখ টন এবং ভিয়েতনাম থেকে ৩০ হাজার টন চাল আমদানি করছে। জি টু জি ভিত্তিতে কেনা এসব চাল ইতোমধ্যে দেশে আসতে শুরু করেছে। মিয়ানমার থেকে সরকার দুই লাখ টন আতব চাল আমদানি করছে। এরমধ্যে বেশ কয়েক জাহাজ চাল চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে। পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালে খালাস করে এসব চাল সাইলো, হালিশহর, দেওয়ানহাট খাদ্য গুদামের পাশাপাশি দেশের নানা স্থানেও পাঠানো হচ্ছে। খাদ্য বিভাগের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারেরাই এসব চাল পরিবহন করছে।
জানা যায়, গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে জব্দকৃত চাল বন্দর থানায় হস্তান্তর করে মামলা রুজুসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু পুলিশ বাদী না হয়ে খাদ্য বিভাগকে বাদী হওয়ার জন্য চাপ দেয়। খাদ্য বিভাগ থেকে মামলার বাদী হতে অস্বীকৃতি জানালে গতরাত দশটা পর্যন্ত জব্দকৃত চালের ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি।
তবে চাল জব্দ করার কথা স্বীকার করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, আমরা চালের বিষয়টি তদন্ত করছি। বিষয়টির সাথে হেরোইনখোরদের যোগসাজস থাকতে পারে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্দর থেকে খালাস করে চালগুলো ট্রাকে বোঝাই করে হালিশহর সিএসডি গুদামে নেয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে হেরোইনখোরেরা ট্রাক থেকে চাল লোপাট করার চেষ্টা করে। তারা ট্রাক থেকে চালের বস্তা নিচে রাস্তায় ফেলছিল। এ সময় সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন চালগুলো জব্দ করে থানায় হস্তান্তর করেছে। সরকারি চাল পরিবহনে এমন হাল কেন হলো তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাল জব্দের কথা স্বীকার করেন। তবে এসব চাল কোত্থেকে কীভাবে এসেছে তা তিনি জানেন না বলেও জানান। তিনি বলেন, আমার দায়িত্ব বন্দরের ভিতরে। এখানে বহু সংস্থা কাজ করে। বন্দর থেকে চাল পাচারের কোন সুযোগ নেই। বাইরে কেউ কিছু করলে তা তো আমার জানার কথা নয়।