কক্সবাজারের পেকুয়ায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কুতুবদিয়ায় ট্রাক চাপায় নিহত হয়েছেন এক নারী এবং পটিয়া উপজেলায় বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক বাইক আরোহীর। গতকাল মঙ্গলবার পৃথক এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
পেকুয়া প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপুরে উপজেলার টৈটং ধনিয়াকাটা এলাকায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাশখালী থেকে পেকুয়া অভিমুখে আসা একটি টেক্সি ধনিয়াকাটা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে টেক্সিটি দুমড়ে মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলে বাঁশখালীর পুইছড়ি সরলিয়া বাজার এলাকার আহমদ নবীর ছেলে শিহাব উদ্দিন (৪৫) ঘটনাস্থলে নিহত হন। স্থানীয়রা আশংকাজনক অবস্থায় আনোয়ারা উপজেলার মহালখান বাজার এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের ছেলে নুরুল আমিনকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের সহ আরেকজন নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা সকলে টেক্সির যাত্রী ছিলেন। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, আমরা বাসটি থানায় নিয়ে এসেছি। চালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। তাদের লাশ মর্গে পাঠানোর পক্রিয়া চলছে। আহতদের চমেকে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুতুবদিয়া : মহেশখালী প্রতিনিধি জানান, কুতুবদিয়ায় বালুবাহী ট্রাক চাপায় এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। তার নাম হাফছা বেগম (৪০)। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার কৈয়ারবিল ঘিলাছড়ি সংলগ্ন সমুদ্র চরে চিংড়ি পোনা আহরণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় ওই নারী। তিনি ঘিলাছড়ি গ্রামের গফুর বাদশাহর স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সকালে গৃহবধূ হাফছা বেগম সমুদ্র চরে চিংড়ি পোনা সংগ্রহ করতে যান। সকাল ১০টার দিকে একই স্থানে চর থেকে বালু তুলতে যাওয়া একটি মাহিন্দ্র ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই মহিলাকে চাপা দিলে তিনি গুরতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুতুবদিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত গৃহবধূর প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট শেষে জেলা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে পটিয়া প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রাম–কঙবাজার মহাসড়ের পটিয়া বাইপাস সড়কে গতকাল বিকাল ৩টায় দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের এক আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মৌলানা এসকান্দর হোসাইন জামি (৫৫) বীমা কর্মকর্তা। তিনি উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পেলনা গ্রামের চৌধুরী বাড়ির মৃত একরামুল হক চৌধুরীর ছেলে। এছাড়া তিনি পৌরসভার গোবিন্দার খিল এলাকার বাইতুল ইকরাম জামে মসজিদের খতিব ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার ইনচার্জ স্নেহাংশু বিকাশ সরকার বলেন, পটিয়া বাইপাস সড়কের গিরি চৌধুরী বাজারের মুখে দ্রুতগামী যাত্রীবাহী পূরবী চেয়ার কোচের সাথে ধাক্কা লাগলে মোটরসাইকেল আরোহী মৌলানা এসকান্দর গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।