পেকুয়ায় ফের একই স্থানে অটোরিকশা চালকের বেপরোয়া গতিতেই সড়কে ঝরলো মসজিদের ইমামের প্রাণ। গত দুই মাস আগেই একই স্থানে অটোরিকশার ধাক্কায় ৩ জনের মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৫ টার দিকে মগনামা সাবমেরিন নৌ ঘাঁটি সড়কের পেকুয়া বাজারের পশ্চিম পাশে ভোলাইয়াঘোনা স্টেশন নামক স্থানে অটোরিকশার ধাক্কা ওই মসজিদের ইমামের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
নিহত মসজিদের ইমাম হাফেজ সাইফুর ইসলাম (৪৫)। তিনি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সরকারিঘোনা এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় দোকানদার হাসান জানান, নিহত হাফেজ সাইফুল ইসলাম আমার দোকানের সামনে পেকুয়া বাজারের দিকে যেতে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিল। এমসয় পেকুয়া বাজার দিক থেকে আসা মগনামা মুখি একটি দ্রুতগামী অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। এ সময় অটোরিকশাটি যাত্রীসহ উল্টে যায়। এতে ৩ যাত্রী আহত হয়।
স্থানীয়রা হাফেজ সাইফুল ইসলামকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় নুর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাফেজ সাইফুল ইসলাম চট্টগ্রামের রাউজান এলাকায় একটি মসজিদে ইমামতি করেন। চাকরির কারনে বেশ কিছু দিন আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা হয় না। ছুটি নিয়ে নিজ এলাকায় এসে ছোট বোনকে দেখতে পেকুয়া ভোলাইয়াঘোনা বোনের শ্বশুর বাড়িতে যান। বোনের সাথে দেখা করে বাড়ী ফিরতে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
এমন সময় হঠাৎ বেপরোয়া গতিতে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দেয় এতে তার মাথায় আঘাত পেয়ে নাক এবং মুখ দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে তার মৃত্যু হয়। হাফেজ সাইফুল ইসলাম ৩ সন্তানের জনক।
এদিকে হাফেজ সাইফুল ইসলামের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবার ও আত্নীয় স্বজনের মাঝে চলছে শোকের মাতম। প্রিয়জনকে হারিয়ে দিশেহারা তার পরিবারের সদস্যরা। তার মৃত্যুতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তিন সন্তানদের ভবিষৎ।
মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার মামলা করবেনা উল্লেখ করে আবেদন করেন। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।












