পাইকারিতে কমছে পেঁয়াজের বাজার। গত এক সপ্তাহ ধরে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। অন্যদিকে বাজারে আদা ও রসুনের সরবরাহ বেড়েছে। তাই পণ্য দুটির দামও কমতির দিকে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ গাড়ি পেঁয়াজ, রসুন ও আদার গাড়ি প্রবেশ করছে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের প্রত্যেক গুদামে পর্যাপ্ত পণ্য রয়েছে। তাই আগামীতে দাম বাড়ার আশঙ্কা কম। গতকাল চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২-৩৩ টাকায়। অন্যদিকে আরেক ক্যাটাগরির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২-২৩ টাকায়। এছাড়া চীনা রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। মিয়ানমারের আদার দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি-৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছর জুড়ে কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। বাকি ৪ লাখ টন আমদানি করা হয়। মূলত এই আমদানিকৃত ৪ লাখ টন পেঁয়াজ বাজারে বড় প্রভাব ফেলে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস আজাদীকে বলেন, সরবরাহ বাড়ার কারণে বর্তমানে পেঁয়াজ-রসুন ও আদার দাম কমছে। বাজারে বর্তমানে নাসিক পেঁয়াজের ছড়াছড়ি। এছাড়া চীনা রসুন ও মিয়ানমারের আদাও প্রচুর এসেছে, যার ফলে বাজারও নিম্নমুখী।