পৃথিবীর ব্ল্যাক বক্স

আজাদী ডেস্ক | শুক্রবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ

অনেকটা বিমানের ব্ল্যাক বক্সের মতো অস্ট্রেলিয়ার টাসমানিয়া দ্বীপে বসানো হচ্ছে পৃথিবীর ব্ল্যাক বক্স। বিমান ভেঙে পড়লে যেমন সেই ব্ল্যাক বক্স ভেঙে জানা যায় শেষ মুহূর্তে কী কী নির্দেশ দিয়েছিল। গ্রাউন্ড কন্ট্রোল বা পাইলটের সঙ্গে গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের ঠিক কী কী কথাবার্তা হয়েছিল, কীভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল বিমানটিকে আর কেনই বা বাঁচানো যায়নি। পৃথিবীর এই ব্ল্যাক বক্সটিও তেমন। এটি থেকে পৃথিবীর শেষের দিনগুলিতে কী কী ঘটনা ঘটেছিল তা পরবর্তী কোনো প্রজন্ম বা সৌরমণ্ডলের ভিন্ন কোনো গ্রহ থেকে আসা কেউ জানতে পারবেন।
জানা যায়, পৃথিবীর এই ব্ল্যাক বক্সটি কোনোভাবেই ধ্বংস করা সম্ভব নয়। আগামী বছরের গোড়ার দিকেই টাসমানিয়ার কোনো এক দুর্গম জায়গায় বসানো হবে বিশাল আকারের এই ব্ল্যাক বক্স। যা ইতিমধ্যেই বানিয়ে ফেলা হয়েছে পুরু ইস্পাত দিয়ে। তবে ঠিক কোথায় সেটিকে বসানো হবে তা গোপন রাখা হবে।
পৃথিবীর এই ব্ল্যাক বক্সটি বানিয়েছে টাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরও দুটি সংস্থা ক্লেমেঙ্গার বিবিডিও এবং দ্য গ্লু সোসাইটির সহযোগিতায়। ব্ল্যাক বক্সের ওয়েবসাইট জানিয়েছে, উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রাণী ও উদ্ভিদের কোন কোন প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে, কী হারে বেড়ে চলেছে পরিবেশ দূষণের মাত্রা, আর সেই সবের কী কী প্রভাব পড়ছে এই প্রজন্মের মানুষের স্বাস্থ্যে, অর্থনীতিতে, সেই সব তথ্যই এতে ধরা থাকবে পুক্সখানুপুক্সখ ভাবে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর এই ব্ল্যাক বক্স বানানো হয়েছে অনেকটা নরওয়ের সেই ডুমসডে ভল্টের আদলেই। যেখানে পৃথিবীর শেষের দিনের জন্য বানিয়ে রাখা হয়েছে একটি সুবিশাল দুর্গ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিআইপি হলেন চট্টগ্রামের ১৪ ব্যবসায়ী
পরবর্তী নিবন্ধকেডিএস অ্যাক্সেসরিজের বার্ষিক সাধারণ সভা