পুলিশ হেফাজতে দুদক কর্মকর্তা মৃত্যু : আসামী গ্রেফতার

আজাদী অনলাইন | বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ at ২:০২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানায় পুলিশ হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অন্যতম আসামি এসএম আসাদুজ্জামান (৫২)কে গ্রেফতার করেছে পিবিআই।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন মোজাফফর নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মেট্রো ইউনিট।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্টো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বলেন, অবসরপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে করা মামলার আসামি এসএম আসাদুজ্জামানকে বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতার আসামী আসাদুজ্জামান ঐ মামলা ৫ নং আসামী। তিনি চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা।

ওই মামলায় চান্দগাঁও থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ, এএসআই সোহেল রানা, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা এসএম আসাদুজ্জামান (৫২), মো. জসীম উদ্দীম (৩৭), মো. লিটন (৪৮), রনি আক্তার তানিয়া (২৬) ও কলি আক্তারসহ (১৯) মোট নয়জনকে আসামি করা হয়েছিল।

গত বছরের ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহর স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার। মামলাটি আমলে নিয়ে চান্দগাঁও থানায় রেকর্ড করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে বাকলিয়া থানার রাহাত্তালপুল এলাকা থেকে ঐ মামলার আসামি জসীম উদ্দীন ও গত ১২ ফেব্রুয়ারি নগরের চকবাজার এলাকা থেকে আসামি মো.লিটনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক (ডিডি) ছিলেন। ২০১৮ সালে অবসর নেন তিনি। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় বসবাস করতেন। সেখানে জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ ছিল তার।

এর জের গত ২৯ আগস্ট রনি আক্তার তানিয়া নামে এক নারীকে ঐ দুদক কর্মকর্তার কাজের মেয়ে সাজিয়ে দুদকের সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও তার শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ারকে আসামী করে মামলা করান অভিযুক্তরা।

ঐ মামলায় দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। কিন্তু তাদেরকে ফাঁসানোর জন্য আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাদের দিয়ে আদালতে ইস্যুকৃত সমন গায়েব করে দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করে অভিযুক্তরা।

এরপর গত ৩ অক্টোবর রাতে শহীদুল্লাহকে বাসা থেকে আদালতের ওয়ারেন্ট দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে নগরের চান্দগাঁও থানা পুলিশ। থানায় নেওয়ার পর ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহকে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র মৃত্যু হয়।

তবে দুদক কর্মকর্তা ভুয়া কাজের মেয়ে সাজিয়ে করা মামলাটি পরে মিথ্যা মামলা বলে প্রত্যাহার করে নেন মামলা বাদী তানিয়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্ধুর সাথে ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল
পরবর্তী নিবন্ধপালিয়ে আসা সেনা ও বিজিপি সদস্যদের ফেরত নিলো মিয়ানমার