কক্সবাজারের রামুতে দুই ভাইকে এসিড নিক্ষেপ ঘটনায় ৫দিন পর তাদের ভগ্নিপতি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) কর্মরত কনস্টেবল নিখিল বড়ুয়াকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা হয়েছে।
এসিড সন্ত্রাসের শিকার টিপু বড়ুয়ার মা প্রকৃতা বড়ুয়া বাদি হয়ে এসিড অপরাধ দমন আইনে রামু থানায় মামলাটি করেন।
রামু থানার ওসি মুহাম্মদ আনোয়ারুল হোসাইন আজাদীকে জানান, ২০০২ সালের এসিড অপরাধ দমন আইনের ৫ (খ)/৭ ধারায় শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ মামলায় কনস্টেবল নিখিল বড়ুয়াকে এজাহারভুক্ত এবং অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৫ অক্টোবর রাত ১০ টার দিকে টিপু বড়ুয়া তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাচাতো ভাই দীপক বড়ুয়াসহ বাড়ি ফেরার পথে চৌমুহনী ভিক্টর প্লাজার বিপরীতে জাহেদ হোসেন মার্কেটের সামনে এলে নিখিল বড়ুয়া ও অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জন লোক তাদের দিকে এসিড নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে তারা দুজনের সরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়।
একইভাবে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে ঘরে ফেরার পথে পুলিশ সদস্য নিখিল বড়ুয়ার ভাড়া করা অজ্ঞাত লোকজন পেছন থেকে তাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত ও ধারালো ক্ষুর দিয়ে আঘাত করে। ওই হামলায় তারা মারা না যাওয়ায় হত্যার উদ্দেশ্য এসিড নিক্ষেপ করা হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
ভিকটিম টিপু বড়ুয়া, রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের দ্বীপ শ্রীকুল গ্রামের নিরধন বড়ুয়া আর দীপক বড়ুয়া একই গ্রামের সুবধন বড়ুয়ার ছেলে। আর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নিখিল বড়ুয়া এসিড হামলার শিকার টিপু বড়ুয়ার ভগ্নিপতি।
তিনি রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের হাজারীকুল গ্রামের মা মৃত সীতানাত বড়ুয়া এবং প্রদীপ বড়ুয়ার ছেলে। নিখিল বড়ুয়া পুলিশের
অপরাধ তদন্ত বিভাগ চট্টগ্রাম কার্যালয়ে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাকে সিআইডি কুমিল্লায় বদলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ দিকে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় প্রতিবাদে রামুতে মানববন্ধন হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিন্দার ঝড় বইছে।