পুলিশকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা

দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৮ মার্চ, ২০২১ at ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ

নগরীতে পুলিশের এক সদস্যকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার সময় দুই ছিনতাইকারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ছুরি, একটি এলজি, এক রাউন্ড গুলি, পাঁচটি মোবাইল সেট ও একটি যাতি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ইমাম হোসেন ইমন (৪০) ও তার সহযোগী আরাফাত হোসেন সুমন (৩৫)।
পুলিশ জানায়, ইমাম হোসেন চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার গোবিন্দপুর গ্রামের আলী আকবরের ছেলে। আর সুমন ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার আলীগাঁও গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এসআই সুফল কুমার দাশ, মো. ইসমাইল এবং এএসআই নিখিল চন্দ্র নামে পুলিশের ৩ জন সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) শাহ মুহাম্মদ আব্দুর রউফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আকবরশাহ থানা সূত্রে জানা যায়, সমপ্রতি কর্নেলহাট ও পাহাড়িকা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে একে খান থেকে ফয়েস’লেক মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়কে অবস্থান নেয় পুলিশ। এ সময় একটি অটোরিকশাকে সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ গাড়িটিকে থামার সংকেত দেয়। কিন্তু সংকেত অমান্য করে অটোরিকশাটি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
পরে নিবন্ধন নম্বরের সূত্র ধরে উত্তর কাট্টলীর ঈশান মহাজন রোডে অটোরিকশাটির গ্যারেজের সন্ধান পায় পুলিশ। রাতে অটোরিকশাটি গ্যারেজে ঢোকানোর সময় ছদ্মবেশী এসআই সুফল গিয়ে চালককে চ্যালেঞ্জ করেন। এ সময় ইমন ও সুমন মিলে তাকে জাপটে ধরে এবং মাটিতে ফেলে ছুরি দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি দেখে আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে ইমন ও সুমন আহত হন। ইমন পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী বলে জানান আকবরশাহ থানার ওসি মো. জহির। তিনি বলেন, ইমনের বিরুদ্ধে অন্তত ১৪টি মামলা রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৪০ সেকেন্ডেই চুরি মোটর সাইকেল
পরবর্তী নিবন্ধশেখ হাসিনাসহ ৪০ নেতাকে জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ বাইডেনের