মুনমুন ভূঁইয়া একজন গৃহিণী। করোনার শুরুতে স্বামীর অনুপ্রেরণায় মাত্র ১০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা চালু করেন। খুলেছেন মুনজ্ কালেকশন নামে একটি ফেসবুক পেজ। পেজে প্রতিদিন বিভিন্ন সময় লাইভে এসে দেখাতেন তার নিত্যনতুন পণ্য (ত্রি-পিস, শাড়ি, বেডশিট ও প্রসাধনী ইত্যাদি)। আট মাসের কম সময়ে তার মূলধন এখন ৯০ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। তার এই নতুন ব্যবসায় সহযোগিতা করেছিলেন শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামী ও ননদরা।
মাদামবিরিহাটের জাহানাবাদ গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী মুনমুন তার এ সাফল্যের কথা তুলে ধরেন গতকাল সীতাকুণ্ড উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনলাইন উদ্যোক্তাদের মিলনমেলায়। এতে অংশ নেন এ রকম ৪০ নারীসহ ৫০ জন উদ্যোক্তা। তারা অনলাইনে গ্রাহকদের চাহিদার বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন। জানিয়েছেন কীভাবে অনলাইনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। সৃষ্টি করা যায় নতুন নতুন উদ্যোক্তা। অপরজন সাজেদা সাজি মাত্র ৫ হাজার টাকা পুঁজিতে শুরু করেন অনলাইনে ঘরে বানানো কেক, পিঠা, মধুভাতসহ নানা খাদ্যসামগ্রীর ব্যবসা। ফেসবুকে ‘ফাইজান্স কেক শপ’ নামে একটি পেজ খুলেন তিনি। তার নিজের সাজেদা সাজু নামেও একটি ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট রয়েছে।
তিনি বলেন, অনলাইনে অর্ডার করলেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার স্বামী আমজাদ হোসেন চাহিদামতো খাদ্যপণ্য ডেলিভারি দিয়ে আসতেন। মাত্র কয়েক মাসে তিনি এই খাদ্যপণ্য বিক্রি করে এখন তার পুঁজি দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার টাকায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম। তিনি বলেন, সরকার যুব উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ঋণসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি এ রকম অনলাইন উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও ঋণ দেয়ার আশ্বাস দেন।
ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান বলেন, তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের সহযোগিতা করছে ইপসা।
উদ্যোক্তা নাহিদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রুমা আক্তার, সৌমিত্র চক্রবর্তী, শাহ সুলতান শামীম, মিজানুর রহমান ইউসুফ, মাসুম সাজ্জাদ প্রমুখ।
