পুঁজিবাজারে স্বস্তির সপ্তাহ

আগ্রহ বেশি লোকসানি কোম্পানিতে

| শুক্রবার , ১০ মার্চ, ২০২৩ at ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

টানা দরপতনের মধ্যে থাকা পুঁজিবাজারে মোটামুটি স্বস্তির একটি সপ্তাহ পার করলেন বিনিয়োগকারীরা; লেনদেন বাড়ল। দর হারাতে থাকা কোম্পানিগুলো ঘুরে দাঁড়াল। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা বড় মূলধনী কোম্পানিতে সেভাবে আগ্রহ ফেরেনি এখনও। তবে লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা ব্যাংক খাতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।

সপ্তাহের শুরুটা ছিল ঝলমলে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বা ডিএসইর সাধারণ সূচক ৩৬ পয়েন্ট বাড়ে রোববার। সোমবারও ৯ এবং মঙ্গলবার বাড়ে প্রায় ৩ পয়েন্ট। টানা তিন দিন ছয়শ কোটি টাকা ছাড়ানো লেনদেন হয় ডিএসইতে। এর মধ্যে সোমবার ৭২৭ কোটি ছিল গত এক মাসের সর্বোচ্চ। খবর বিডিনিউজের।

বুধবার শবে বরাতের ছুটিতে বন্ধ থাকে লেনদেন। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বাজারে কিছুটা বিভ্রান্তি দেখা যায়। দিনভর উঠানামা করতে করতে শেষ পর্যন্ত ২ পয়েন্ট পতন আর লেনদেন কিছুটা কমার মধ্য দিয়ে শেষ হয় লেনদেন। ৪৭টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে এদিন দর হারিয়েছে ১১৩টি। ১৬৮টি কোম্পানি আগের দিনের দরে লেনদেন হয়েছে। এগুলো ফ্লোর প্রাইসে আছে। সবমিলিয়ে হাতবদল হয়েছ ৩২৮টি কোম্পানির শেয়ার। ৬৩টি কোম্পানির একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি। লেনদেন হয়েছে ৫৪৫ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার টাকা, যা মঙ্গলবার ছিল ৬৪৯ কোটি ৫৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

লেনদেন কিছুটা কমলেও এ সপ্তাহ বিনিয়োগকারীদের অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে। দুই সপ্তাহ আগেও লেনদেন ছিল দুইশ কোটি টাকার ঘরে। সেখানে চলতি সপ্তাহের চার দিনে গড় লেনদেন দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ছয়শ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল সাড়ে তিনশ কোটি টাকার কিছুটা বেশি।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণা প্রধান দেবব্রত কুমার সরকার বলেন, এক দিক দিয়ে বিবেচনা করলে বলতে পারি, এই সপ্তাহটা অনেক ভালো গেছে। গড়ে ছয়শ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে দিনে। শেষ দিনে কমার কিছু কারণ আছে। বুধবার ছুটি, এর একদিন পর আবার দুই দিনের ছুটি। এ কারণে অনেকে লেনদেন থেকে দূরে ছিল। আবার এই সপ্তাহে কোনো কোনো কোম্পানির শেয়ার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। সেগুলো বিক্রি করে অনেকে ফান্ড ফ্রি রেখেছে। তবে যদি মোমেনটামের কথা বলি, সেটা অনেক পজিটিভ। এই সপ্তাহে কয়েকটি আইটেম ফ্লোর থেকে বের হয়েছে। এভাবে কিছুদিন চলতে থাকলে আত্মবিশ্বাস ফিরবে।

সবই কি ইতিবাচক?- এমন প্রশ্নে এই পুঁজিবাজার বিশ্লেষক বলেন, সেটা না, এখনও বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোতে আগ্রহ নেই। ৩০ থেকে ৪০টা কোম্পানিতেই লেনদেন হচ্ছে। মার্কেট লিড দিচ্ছে না কোনো খাত। বলা চলে নেটিং হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফ্লোরিডায় ২৮তম এশিয়ান বাণিজ্য খাদ্য সাংস্কৃতিক মেলা
পরবর্তী নিবন্ধরক্ষা কি পাবে শতবছরের পুকুরটি?