পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বাবুলের নারাজি

ভোলার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৫ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন দাখিল করেছেন বাবুল আক্তার। গতকাল বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী তার পক্ষে এ পিটিশন দাখিল করেন। একপর্যায়ে আদালত পিটিশনটি গ্রহণ করে এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। আদালতের জিআরও শাখার সূত্র ও আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আইনজীবী বলেন, আগামী ধার্য তারিখে যাতে বাবুল আক্তারকে সশরীরে আদালত কক্ষে হাজির করা হয়, তার উপস্থিতিতে যাতে শুনানি করা হয়, সে সংক্রান্ত একটি আবেদনও করি। আদালত সেটিও গ্রহণ করেছেন। সে অনুযায়ী বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতেই তার পক্ষে করা নারাজি পিটিশন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে একই দিন মিতু খুনের ঘটনায় অস্ত্র সরবরাকারী এহতেশামুল হক ভোলার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে হাজির না থাকায় তার বিরুদ্ধে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসূলী ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজাদীকে বলেন, উচ্চ আদালত থেকে নেয়া চার সপ্তাহের জামিন শেষে গত সোমবার ভোলা আমাদের আদালতে আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত সেদিন শুনানি করেন নি। ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মামলার নথি তলব করে বৃহস্পতিবারের জন্য রাখেন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোলার হাজির থাকার কথা। কিন্তু তিনি অনুপস্থিত থাকেন এবং অসুস্থ দাবি করে সময়ের আবেদন করেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষে এটির বিরোধিতা করি এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলি। একপর্যায়ে আদালত আমাদের বিরোধিতা আমলে নিয়ে উক্ত সময়ের আবেদন নাকচ করে দেন
এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সে সময় বাবুল আক্তার দাবি করেন, জঙ্গিরাই তার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছেন। পাঁচলাইশ থানায় করা উক্ত মামলা ডিবি পুলিশ হয়ে তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সংস্থাটি গত ১২ মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। যেখানে বলা হয়, বাবুল আক্তারই স্ত্রী মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।
এদিকে পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন পাঁচলাইশ থানায় মিতু খুনের ঘটনায় বাবুল আক্তার, ভোলাসহ ৮ জনকে আসামি করে বাবুল আক্তারের শ্বশুর নতুন একটি মামলা করেন।
মামলার এজহারে বলা হয়, বাবুল আক্তারই পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী মিতুকে লোক লাগিয়ে হত্যা করেন। একপর্যায়ে বাবুল আক্তারকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং সেদিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আগের দিন ১১ মে ঢাকা থেকে ডেকে নিয়ে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নেয় চট্টগ্রামের পিবিআই। বর্তমানে তিনি ফেনী কারাগারে আছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনিশ্চয়তা কাটছে পাউবোর ১৬২০ কোটি টাকার প্রকল্পে
পরবর্তী নিবন্ধপেঁয়াজে শুল্ক নেই চিনিতে হ্রাস