আনোয়ারায় ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আদায়ের ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের হওয়া মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরের এক নির্দেশনায় সম্প্রতি আলোচিত এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দেয়া হয়। পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার সুপার মো. নাজমুল হাসান আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সুপার বলেন, বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত ৭ ফেভ্রুয়ারি আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বৈরাগ গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আনেয়ারা থানায় একটি মামলা (নং-১০(২)২০২১) দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ১৭১/৩৮৫/৩৮৬/ ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় পরে পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনাটির সাথে ৬ পুলিশ কনস্টেবলের সম্পৃক্ততা পায়। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন আনোয়ারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছৈয়দ ওমর। পরে সিএমপি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ওইদিনেই পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
গত মঙ্গলবার (৯ ফেভ্রুয়ারি) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালত তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অভিযুক্ত ছয় পুলিশ সদস্যরা হলেন, কনস্টেবল আব্দুল নবী, এসকান্দার হোসেন, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, শাকিল খান, মো. মাসুদ ও মোর্শেদ বিল্লাহ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৩ ফেভ্রুয়ারি রাত ২টার দিকে চারটি মোটর সাইকেলে করে আটজন লোক তাদের বাড়িতে যায়। ডিবি পরিচয়ে তাকে একটি মোটরসাইকেলে তুলে পটিয়া উপজেলার ভেল্লাপাড়া ব্রিজের পূর্বপাশে কৈয়গ্রাম রাস্তার মাথায় একটি চা দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে আব্দুল মান্নানকে তারা জানায়, মান্নানের বিরুদ্ধে ডিবিতে অভিযোগ আছে। এর থেকে অব্যাহতি পেতে হলে তাকে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। রাতভর ‘দর কষাকষির’ পর ভোর ৫টার দিকে আত্মীয়ের মাধ্যমে এক লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা এনে তাদের হাতে তুলে দেন মান্নান। এরপর তারা মান্নানকে সেখানে রেখে চলে যায়।