পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার

মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল

মীরসরাই প্রতিনিধি | রবিবার , ৮ মে, ২০২২ at ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ

২০১৭ সালে পার্বত্য ট্র্যাজেডি ও ইতিপূর্বে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অনেক মানুষের প্রাণহানির পরও চট্টগ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে কমেনি মানুষের বসবাস। এরই মধ্যে বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশেও মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে হাজারো পরিবার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাহাড়গুলোর ঝুঁকিপূর্ণ পাদদেশে ও ঢালুতে দিন দিন মানুষের বসবাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিষয়ে প্রশাসনিক কোনো উদ্যোগ না থাকায় উল্টো যেন এমন ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস মেনেই নিচ্ছে সকলে। বিশেষ করে করেরহাট, দুর্গাপুর, খৈয়াছরা, জোরারগঞ্জ, ওয়াহেদপুর অঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস বাড়ছেই। অথচ চট্টগ্রামের বাটালি হিল, টাইগার পাসসহ বিভিন্ন স্থানে গত ১ দশকে পাহাড় ধসে শতাধিক মৃত্যুবরণ করে। কয়েক বছর পূর্বে রাঙামাটির বিভিন্ন অঞ্চলে মৃত্যুবরণ করেছে দেড় শতাধিক মানুষ। মীরসরাইয়ের বারইয়াহাট-খাগড়াছড়ি সড়কেও একাধিকবার পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় মারা গেছেন বেশ কয়েকজন। মর্মান্তিক এসব দুর্ঘটনার পরও এখনো মীরসরাইয়ের বিভিন্ন অঞ্চলে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ ঢালুতে বসবাস করছে সহস্রাধিক পরিবার। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের ঢালুতে বসবাস করতে দেখা যায় করেরহাট, পূর্ব দুর্গাপুর, সোনাপাহাড় ও খৈয়াছরা এলাকার কয়েকটি পাহাড়ি এলাকায়।

করেরহাট এলাকার চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন এই বিষয়ে দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমার এলাকার পাহাড়ি অঞ্চলে অনেক উপজাতির আদি বসবাস। কিছু বাঙালিকেও এখন পাহাড়ি জনপদে বসবাস করতে দেখা যায়। পাহাড় ধসের ব্যাপারে আমরা বারবার তাদের সতর্ক করে আসছি। কিন্তু পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না থাকায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।

এছাড়া উপজেলার পূর্ব দুর্গাপুর, মহামায়া লেক পূর্ববর্তী পাহাড়ি টিলা, রায়পুর গ্রাম, খৈয়াছরা ও ওয়াহেদপুরে বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ বসতি এখনো রয়েছে বলে জানা যায়। এই বিষয়ে মীরসরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, প্রতি বছর মীরসরাইয়ের সকল চেয়ারম্যানকে বর্ষার পূর্বে এই বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। এবারও সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এই বিষয়ে স্থায়ী উদ্যোগ হিসেবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের সভা
পরবর্তী নিবন্ধকাথরিয়ায় সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন