পাহাড়ি পরিবেশে তুঁতচাষ বিষয়ক সেমিনার

কাপ্তাই প্রতিনিধি | শনিবার , ৫ জুন, ২০২১ at ৮:৪২ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রাজশাহীর (বারেগপ্রই) উদ্যোগে বারেগপ্রই ‘উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল তুঁতজাত ও তুঁতচাষ পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে পাহাড়ি পরিবেশে রেশম খাতের উন্নয়ন সম্ভাবনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক সেমিনার কাপ্তাই উপজেলা আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্র চন্দ্রঘোনায় অনুষ্ঠিত হয়। চন্দ্রঘোনা আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্রের উর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসডিবি রাজশাহীর পরিচালক (গবেষণা ও প্রশিক্ষণ) এ, কে, এম, আমিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহাদাৎ হোসেন চৗধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা মো. আফতাব উদ্দীন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কাউখালী উপজেলার সফল তুঁতচাষি ফরিদা বেগম।
এতে প্রধান অতিথি বলেন, পাহাড়ি পরিবেশে তুঁতচাষ অত্যন্ত সহজ ও সফল কাজ। তুঁতচাষে খুববেশি মূলধনের প্রয়োজন হয় না। কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। যে কোন বয়সের লোক যে কোন সময় যে কোন পরিস্থিতিতে তুঁতচাষ করতে পারেন। মূল্যবান রেশম কাপড় তৈরির জন্য প্রধান উপকরণ হলো তুঁতচাষ। তুঁত থেকে যে সুঁতা হয় তা দিয়েই তৈরি হয় উন্নতমানের রেশম কাপড়। চাষীরা নিজ আঙ্গিনায়, বাড়ির আশপাশে, পাহাড়ের ধারে, খেতের আইলে অল্প জমিতে তুঁতচাষ করতে পারেন।রেশম গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তুঁতচাষীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়। তিনি সবাইকে তুঁতচাষে এগিয়ে আসার আহবান জানান। পাশাপাশি চন্দ্রঘোনা আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্রের সার্বিক উন্নয়নে এবং সুরক্ষায় কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যানসহ সর্বস্তরের জনগণের আন্তরিত সহযোগিতা কামনা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীতে ইয়াবাসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনী আজ