ঢালিউডের কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর মৃত্যু রহস্য নিয়ে আবারও আলোচনার ঝড় উঠেছে। ২৯ বছর আগের সেই ঘটনার তদন্ত নতুন করে শুরু হয়েছে, আর তাতে আসামি হিসেবে নাম এসেছে চলচ্চিত্রের অভিনেতা মোহাম্মদ আশরাফুল হক তথা ডনের।
মামলার পর থেকে ডনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, গণমাধ্যমে এমন খবরে এসেছে। তবে ডন জানিয়েছেন, তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন না; বরং শিগগিরই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। ডন বলেন, সবাই বলছে আমি নাকি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ৩০ বছর পালাইনি, এখন পালাব কেন? আমি বাসাতেই আছি। দুয়েক দিনের মধ্যেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করব। কারণ ৩০ বছর ধরে যে যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছি, এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার। খবর বাংলানিউজের।
তিনি আরও বলেন, চলচ্চিত্র ভালোবেসেই ঘর ছেড়েছিলাম। অভিনয়ে সুযোগের আশায় হার্টথ্রব সালমান শাহর সঙ্গে জুটি গড়েছিলাম। মা–বউয়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত মানুষটির সুখ–দুঃখের সাথী হয়েছি। তাকে আনন্দে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সালমানকে ভালোবেসে আমার ক্যারিয়ারের বারোটা বেজেছে। আজও ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। সালমানকে ভালোবেসেছি বলেই জীবনের প্রচণ্ড ঝড় মেনে নিয়েছি। সালমানকে ভালোবাসার যন্ত্রণা আর সইতে পারছি না। আমিও মানুষ, আমারও বাঁচতে ইচ্ছে করে। সালমানকে ভালোবেসে অনেকে আত্মহত্যা করেছে, আমি করিনি, এটাই কি আমার অপরাধ? আমি যদি আত্মহত্যা করতাম, তাহলে কি সবাই খুশি হতো? ওপরে একজন আছেন, তিনি সব দেখেন। একদিন সত্য প্রকাশ হবেই; তবে আমি সেদিন দেখে যেতে পারব কিনা জানি না।
ডন বলেন, সালমান শাহর মৃত্যুর আগের সাক্ষাৎ যেন আজও চোখে ভাসে। ৩০ আগস্ট আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরেছিলাম। সালমান আমাকে বলেছিল, পরিচালক শিবলী সাদিক ভাইকে জানাতে যে সে ৩ সেপ্টেম্বর ‘আনন্দ অশ্রু’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নেবে। আমি খবরটা পৌঁছে দিয়েছিলাম। ভাবলাম দুই দিনের জন্য বগুড়ায় ঘুরে আসি, কিন্তু বাস ধর্মঘটের কারণে ফিরতে পারিনি। ৬ সেপ্টেম্বর ঝড়ের মতো খবর, সালমান শাহ আর নেই।












