নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি, রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে। খবর বিডিনিউজের।
রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে পাপিয়ার স্বামী মফিজুরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী আইনজীবী আবু ফতেহ মোহাম্মদ গোলাম ফাত্তাহ ও শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঞা। আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় আগামী রোববার পরবর্তী দিন ধার্য করে আদালত। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১২ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দেশি-বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়। ওইদিন রাতেই পাপিয়ার নরসিংদী বাসা এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়। এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে পাপিয়া-সুমনের দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ২০টি গুলি, বিদেশি মদসহ বিভিন্ন জিনিস জব্দ করে র্যাব। ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা হয়।