পাগলা মসজিদের দানবক্সে তিন কোটি ৯০ লাখ টাকা

এর আগে গত ২ জুলাই মিলেছিল তিন কোটি ৬০ লাখ

| রবিবার , ২ অক্টোবর, ২০২২ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক খুলে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ তিন কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজারের বেশি টাকা পাওয়া গেছে। টাকা ছাড়াও ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, রিঙ্গিত, দিনারসহ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও মিলেছে। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল শনিবার রাতে টাকা গণনার কাজে নেতৃত্ব দেওয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, মসজিদের আটটি দানসিন্দুক থেকে প্রাপ্ত ১৫ বস্তা টাকা টানা ১০ ঘণ্টা গণনা করে তিন কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া গেছে। এটি এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর আগে চলতি বছরের ২ জুলাই সর্বশেষ দানসিন্দুক খোলে তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তবে চলতি বছরের ১২ মার্চ দানসিন্দুক থেকে মিলেছিল তিন কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা।
কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানসিন্দুক খোলা হয়। দানসিন্দুক থেকে টাকা প্রথমে ১৫টি বড় বস্তায় টাকা ভরা হয়। এরপর শুরু হয় গণনা। গণনার কাজে মাদ্রাসার ১১২ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ কর্মকর্তা, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃক্সখলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য কাজ করেন।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পাগলা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মিয়া জানান, মসজিদের প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদ এবং এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব ছাত্র ও দুঃস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। বিভিন্ন সামাজিক কাজেও টাকা প্রদান করা হয়।
তিনি আরও জানান, সব টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হবে। বর্তমানে পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্সকে ঘিরে এখানে একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে মসজিদ কমপ্লেক্স আরও দৃষ্টিনন্দন হবে। সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট তিনতলা পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জে অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা। জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় অবস্থিত পাগলা মসজিদটি প্রায় চার একর জায়গাজুড়ে রয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সের অধীনে আছে মাদ্রাসা ও এতিমখানা।
কথিত আছে, ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক একজন ব্যক্তি নদীর তীরে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণে ফিরেছে পিতা-পুত্র, আরেক যুবক অপহৃত
পরবর্তী নিবন্ধএসিড দগ্ধের যন্ত্রণায় দুই যুগ বেঁচে থাকা