আঙুলের চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন তামিম ইকবাল। কদিন ধরে নেটে ব্যাটিংও করছিলেন। কিন্তু ব্যথা ও ফোলা কমছিল না। চোটের অবস্থা বুঝে দেখার জন্য গতকাল রোববার এঙ-রে করান তিনি। সেই এঙ-রে বয়ে আনল দুঃসংবাদ। তার আঙুলে ধরা পড়ল নতুন চিড়। বাঁহাতি ওপেনার আবার ছিটকে গেলেন মাঠের বাইরে। পাকিস্তানের বিপক্ষে গোটা সিরিজেই অভিজ্ঞ ওপেনারকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এই সিরিজে অবশ্য ওয়ানডে নেই। তাই ওয়ানডের নেতৃত্বে বিকল্প হিসেবে কাউকে খুঁজতে হচ্ছে না আপাতত। নেপালে গত ৬ অক্টোবর ব্যাটিংয়ের সময় বাঁহাতে বুড়ো আঙুলে আঘাত পান তামিম। দেশে ফিরে এঙ-রে করিয়ে ধরা পড়ে চিড়। মাসখানেক সময় মাঠের বাইরে থেকে সমপ্রতি তিনি শুরু করেন নেটে ব্যাটিং। শুরুতে টেনিস বলে হালকা ব্যাটিংয়ের পর নেটে পুরোদমে ব্যাটিংয়ে ফেরেন। কিন্তু পেস বোলিং খেলতে গেলেই অনুভব করছিলেন ব্যথা। সেই ব্যথার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়েই রোববার আবার এঙ-রে করিয়ে ধরা পড়ে নতুন চিড়। ‘আগের ফ্র্যাকচারটা ছিল ভেতরের দিকে। ওটা প্রায় সেরে গেছে। কিন্তু আমার আঙুল ফোলা ছিল বাইরের দিকে। সেজন্যই কৌতূহলবশত এঙ-রে করে দেখা গেল, ওপরের দিকে ফ্র্যাকচার আছে। সম্ভবত একসঙ্গেই দুই জায়গায় ফ্র্যাকচার হয়েছিল, আগের এঙ-রেতে ওপরের দিকেরটা ধরা পড়েনি। এখন আবার আঙুলে স্প্লিন্ট লাগানো হয়েছে। আঙুল নড়া-চড়া বন্ধ। আবার পুরো প্রক্রিয়া শুরু।’ তামিম জানালেন, বিশেষজ্ঞ দেখাতে দেশের বাইরে যাওয়ার চিন্তা করছেন তিনি। চিকিৎসকের অ্যাপয়নমেন্ট পেলে যেতে চান লন্ডন। এখন তার শঙ্কা, অস্ত্রোপচার লাগে কি না। ‘অপারেশন করাতে না হলে আশা করি নিউ জিল্যান্ড সফরের আগে ঠিক হয়ে যাবে। আর অপারেশন করা হলে তো লম্বা সময়ের ব্যাপার, অপারেশনের পর বোঝা যাবে।’ নতুন এই ধাক্কায় স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ হতাশ তামিম।‘আমি মাঠে ফিরতে চাই। আর ভালো লাগছে না। ফিরতে চাই বলেই গত কয়েকদিনে অনেক এফোর্ট দিলাম, অনেক চেষ্টা করলাম। কিন্তু হলো না। কী আর করতে পারি, দুর্ভাগ্যজনক। আমার যা করার ছিল, সবই করলাম। আর কিছু বলার নেই।’
