পাওনা ৩শ’ টাকা চাইতে গিয়েই আনোয়ারায় রূপন আচার্য (৩৭) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কৈনপুরা ২ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। গত বুধবার ভোরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে রুবেল দাশ (৩৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর হাতে গুরুতর আহত হন রূপন। পরে রাতে চমেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ সুমন দাশ (৪০) নামে একজনকে আটক করলেও মূল অভিযুক্ত রুবেল দাশ ও তার ভাইয়েরা পলাতক রয়েছে। নিহত রূপন স্থানীয় মৃত রাখাল চন্দ্রের এবং অভিযুক্ত রুবেল একই এলাকার বাবুল জলদাসের ছেলে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আনোয়ারা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ভোরে রূপন পাওনা টাকার জন্য রুবেল দাশের কাছে গেলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রুবেলের লোহার চেইনের আঘাতে রূপন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতেই তার মৃত্যু হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত রূপনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, রূপনের অসুস্থ মা (৯০) নির্বাক হয়ে তাকিয়ে আছেন। অবুঝ শিশু জ্যাতিষ্ময় আচার্য্য (৬) চোখে পানি আর ভাতের তালা নিয়ে বসে বাবার জন্য অপেক্ষা করছে। প্রতিবেশীরা তাদের সান্ব্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রুবেল ইয়াবা ও মদের ব্যবসা করে। রুবেলের এক ভাই ইয়াবাসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে এখনো জেলে আছে। এলাকায় রুবেলের পরিবারের ভয়ে কেও মুখ খোলে না। নিহতের বড় ভাই হরদন আচার্য্য বলেন, পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে আমার ভাই খুন হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। নিহত রূপনের পরিবারে তার মা, স্ত্রী, ২ পুত্র ও ১ কন্যা রয়েছে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম দিদারুল ইসলাম সিকদার জানান, পাওনা ৩শ’ টাকাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সুমন নামে একজনকে আটক করেছে। নিহতের পরিবার এখনো মামলা করেনি। মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।