পাঁচ বছর ধরে সেতুটির এই হাল

মীরসরাই প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৭ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

প্রথমে ছোট আকারের গর্ত; কয়েক বছর ধরে ও এর সংস্কার না হওয়ায় বড় গর্ত হয়ে যায় এই ভাঙা ব্রিজটির উপর। এলাকাবাসী জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সংবাদকর্মী অনেকেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বারবার। সবাই শীঘ্রই কার্যকর ব্যবস্থা নেবে বলেন। কিন্তু বছরের পর বছর থেকেই যাচ্ছে। উপরন্তু দিনে দিনে আরো ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। কারোই যেন মাথাব্যথা নেই জনদুর্ভোগ আর ভোগান্তি নিয়ে। মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ তাজপুর ও ওসমানপুর ইউনিয়নের পূর্ব সাহেবপুর গ্রামের ডালিয়া খালের উপর নির্মিত এয়াকুব আলী সড়কের মোহাম্মদীয়া বটতল সংযোগ ব্রিজটি ৪ দশক পূর্বে নির্মিত। পুরনো ব্রিজের কারণে দুই গ্রামের ৫ হাজার মানুষ প্রতিনিয়তই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ভাঙা ব্রিজের কারণে স্থানীয়দের আড়াই কিলোমিটার সড়ক পথ পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়। তবে কবে নাগাদ এই ব্রিজ সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ হবে সেই বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেনি। জানুয়ারির শুরুর দিকে সত্তর বছর বয়সী নুরুল আবছার ভাঙা ব্রিজ পার হতে গিয়ে খালে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যুবরণ করেন। সমপ্রতি দুই শিশু ব্রিজ থেকে পড়ে আহত হয়। নিত্যদিন এমন মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল ৫ বছর পূর্বে ভেঙে যাওয়া একটি ব্রিজ দিয়ে।
জানা যায়, জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ তাজপুর ও ওসমানপুর ইউনিয়নের পূর্ব সাহেবপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এয়াকুব আলী সড়কের মোহাম্মদীয়া বটতল সংযোগ ব্রিজ দিয়ে তাজপুর বড় জামে মসজিদ, তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিষুমিয়ারহাট মাদ্রাসা ও এতিমখানা, ওসমানপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, জোরারগঞ্জ জে.বি উচ্চ বিদ্যালয়, মারকাজুল উলুম মাদ্রাসা, জোরারগঞ্জ মহিলা কলেজ, বারইয়ারহাট কলেজ, মীরসরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ যাওয়ার জন্য বিকল্পহীন পথ হিসেবে ভাঙা ব্রিজটি ব্যবহার করে থাকেন। ১৯৮৬ সালে নির্মিত ৪৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এই ব্রিজ গত ৫ বছর পূর্বে ভেঙে পড়ায় পায়ে হেঁটে চলাচল করাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ব্রিজের মাঝখানে ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সবরকম যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া ব্রিজের বেশ কিছু অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এক পাশের রেলিং পুরোপুরিভাবে ভেঙে গেছে। অন্যপাশের রেলিং ভেঙে রড বেরিয়ে এসেছে। দীর্ঘসময় ব্রিজটি সংস্কারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মকসুদ আহমদ চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ তাজপুর এলাকার ডালিয়া খালের উপর নির্মিত ক্ষতিগ্রস্ত বটতল ব্রিজটি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের একটা টিম চলতি বছরের শুরুর দিকে সরেজমিন পরিদর্শন করে মাটি পরীক্ষার পর রিপোর্ট সংগ্রহ করে।
মীরসরাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বটতল ব্রিজ সংস্কারের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। সরেজমিন পরিদর্শন করে ওই স্থানের মাটি পরীক্ষার পর রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। টেন্ডার হলে কাজ শুরু হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুহিবুল্লাহর খুনিদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেব : মোমেন
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা