পলাতক আসামি ও দুজন সাক্ষীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা

ফটিকছড়ির হারুন হত্যা মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

ফটিকছড়ির ভুজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হারুন বশর হত্যা মামলার পলাতক আসামি ও দুজন সাক্ষীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হালিম উল্লাহ চৌধুরী এ আদেশ দেন। জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দুজন সাক্ষীকে হাজির করার জন্য পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, হারুন হত্যা মামলায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটভুক্ত ১ নম্বর আসামি দিদারুল আলম জামিনে আছেন এবং ২ নম্বর আসামি নাছির উদ্দিন ও ৩ নম্বর আসামি শফিউল আলম বর্তমানে হাজতে আছেন।

বাকীরা পলাতক। তারা হলেন, নাছির উদ্দিন, কমরুল, সেলিম, ইকবাল, সালাইমান, হুমায়ুন, মো. ইয়াকুব, তৈয়ব, হোসেন, সাইফুদ্দিন, নুরুল ইসলাম, সুজা, জামশেদ, নাছিরুল, মাহবুব, মো. জসিম, শফি, শাহ আলম, জাহাঙ্গীর, নুর ছাফা, ইলিয়াছ, অলি উল্লাহ এবং নাজিম উদ্দিন। এদের মধ্যে নুর ছাফা ইতিমধ্যে মারা গেছেন। যে দুজন সাক্ষীর প্রতি পরোয়ানা জারি হয়েছে তারা হলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ১১ নম্বর সাক্ষী জালাল উদ্দিন এবং ১২ নম্বর সাক্ষী শাহজাহান। আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালের ৯ মে ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন চলাকালে ছাত্রশিবির ও এনডিপির সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া গুলি বর্ষণ করে। এতে সম্মেলন বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তৎকালীন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের গাড়ি ফটিকছড়ি নানুপুর বাজারে পৌঁছলে ৩ টি ট্রাক দিয়ে গাড়ি গতিরোধ করে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় মোশাররফ হোসেনসহ তার ৫ জন সহযোগী আহত হয়। হারুন বশরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারিত হয়েছে বলেও আদালত সূত্র জানায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি আরও কমিয়ে ৫.২% ধরছে বিশ্ব ব্যাংক
পরবর্তী নিবন্ধবোধনের ছত্রিশ বছর পূর্তি উদযাপন