পর্যটকের ভিড়ের সুযোগে হয়রানি

কক্সবাজারে বিভিন্ন হোটেলে অভিযান, জরিমানা আদায়

| রবিবার , ৯ অক্টোবর, ২০২২ at ৭:০২ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি ম

কক্সবাজারে পর্যটকের চাপ বাড়লেই বেড়ে যায় হয়রানিও। চাহিদার চেয়ে জোগান কমলেই সুযোগ নেয় পর্যটন শহরের অসাধু হোটেল মালিক, পরিবহন শ্রমিক ও রেস্তোরাঁ মালিকরা। আদায় করে কয়েকগুণ মূল্য। কক্সবাজারে গত প্রায় ৫ দিন ধরে পর্যটকের চাপে এমন হয়রানির ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পর্যটকদের। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত সাগরপাড়ের হোটেল অভিসারসহ বিভিন্ন হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।
দুর্গাপূজা, ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে টানা ছুটিতে কক্সবাজারে এখন পর্যটকে টইটুম্বর। হোটেল-মোটেলে কক্ষ খালি নেই রোববার পর্যন্ত। গতকাল শনিবারও লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করেছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। আর এই ভিড়ের সুযোগে অসাধু হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক ও পরিবহন শ্রমিকরা পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। অনেক পর্যটক অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রতিবাদ করায় তারা দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন।
গতকাল শনিবার বিকেলে হোটেল-মোটেল জোন ঘুরে জানা যায়, তারকা মানের হোটেল ছাড়া অন্যান্য হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজে ইচ্ছেমতো কক্ষ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোনো মূল্য তালিকাই টাঙানো নেই। আবার কোনো কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুই ধরনের মূল্য তালিকা রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
কঙবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, কঙবাজার শহরের পর্যটন জোনের হোটেলগুলোতে পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কক্ষ ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন হোটেলে অভিযান চালানো হয়েছে। এরমধ্যে হোটেল অভিসারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. মাসুম বিল্লাহর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ জরিমানা আদায় করেন।
কঙবাজার জেলা প্রশাসনের (পর্যটন সেল) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, কয়েকটি হোটেলে অতিরিক্ত কক্ষ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে হোটেল অভিসারে মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করায় ভোক্তা অধিকার আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বেড়াতে আসা পর্যটকদের সেবা নিশ্চিত ও হয়রানি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবছর দুই ঈদ, দুর্গাপূজা, পহেলা বৈশাখ, থার্টিফার্স্টসহ টানা সরকারি ছুটিতে কঙবাজারে সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটে। এসময় হোটেল-মোটেলে শতভাগ রুম বুকিং থাকে। সবখানে থাকে উপচে পড়া ভিড়।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম সার্ভিসেস এসোসিয়েশন কঙবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, কঙবাজার শহরে প্রায় ৫শ হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে প্রায় দেড় লাখ পর্যটকের রাত যাপনের সুবিধা রয়েছে। রোববার পর্যন্ত প্রায় হোটেলেই প্রায় শতভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে। আর এ সুযোগে কিছু অসাধু ম্যানেজার ও কক্ষ দালাল পরস্পর যোগসাজশে পর্যটকদের হয়রানি করেছে বলে শুনেছি। এই ধরনের ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকুমড়োর ওজন ১১৫৮ কেজি
পরবর্তী নিবন্ধসবুজে ভরে দিতে হবে নগরকে