পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় খুন হন জয়নাল

বাড়বকুণ্ডে স্ত্রীর প্রেমিকের জবানবন্দি

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৩ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নে জয়নাল আবেদীনকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রীর কথিত প্রেমিক শাহাদাত হোসেন কাইয়ুম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দীনের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি। আদালতকে কাইয়ুম বলেন, জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী লিমা আক্তার সঙ্গে তার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জয়নাল প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ায়তারা দুজনে মিলে খুন করার পরিকল্পনা করেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে স্ত্রীর প্রেমিক কাইয়ুম ঘরে প্রবেশ করে জয়নালের মাথায় আঘাত করেন। জয়নাল তখন জ্ঞান হারিয়ে ফেললে কাইয়ুম ছুরি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে নেন। তারপর জয়নালের মৃত্যু নিশ্চিত হলে তাকে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দিয়ে কাইয়ুম পালিয়ে যান। শনিবার সকালে জয়নালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে স্বামী জয়নাল আবেদীন হত্যার কথা স্বীকার করে কথিত প্রেমিক শাহাদাত হোসেন কাইয়ুম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। গত রোববার বিকেলে মীরসরাই উপজেলার আমবারিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
জয়নাল আবেদীনের ছোট ভাই মহিউদ্দিন বাদী হয়ে নিহতের স্ত্রী রিমা ও তার প্রেমিক শাহাদাত হোসেন কাইয়ুমের নামোল্লেখ করে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় রিমা আক্তারকে শনিবার সকালে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নিহতের বোন সাবিনা ইয়াছমিন জানান, পারিবারিকভাবে জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে লিমা আক্তারের বিয়ে হয় ১০ বছর আগে। জয়নাল ছিলেন সবজি ব্যবসায়ী। তাদের সংসারে দুই মেয়ে রয়েছে। সমপ্রতি তার স্ত্রী একই এলাকার শাহাদাত হোসেন কাইয়ুম নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ খবর জানাজানি হলে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে সামাজিকভাবে কয়েক দফা সালিশ বৈঠকও হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাবা কিনে না দেয়ায় মোটরসাইকেল চুরি করল তরুণ
পরবর্তী নিবন্ধতেল, ডালসহ ছয় পণ্যের দাম বেঁধে দিল সরকার