কালবৈশাখী ঝড়ে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম–ঢাকা রেলপথের বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে পড়েছে। ফলে পথিমধ্যে ৮ থেকে ১০টি ট্রেন আটকা পড়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও রেলকর্মীরা গাছ কেটে সরানোর পর ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শত শত যাত্রী।
গতকাল সোমাবার বিকালে কালবৈশাখী ঝড়ে জানালীহাট ও ষোলশহর স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে গাছ ভেঙে পড়লে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজার এক্সপ্রেস আটকা পড়ে। ফায়ার সার্ভিস এসে গাছ সরিয়ে দিলে সাড়ে ৩ ঘণ্টা বিলম্বে ট্রেনটি চট্টগ্রাম এসে পৌঁছে এবং চট্টগ্রাম থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা দেরিতে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে চট্টগ্রাম বিভাগে ১০/১২টি স্থানে রেললাইনে গাছ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কক্সবাজার এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপেস, গোধূলিসহ বিভিন্ন মালগাড়ি আটকা পড়ে।চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে জানালিহাট স্টেশন থেকে ষোলশহর স্টেশনে যাওয়ার আগমুহূর্তে একটি গাছ ভেঙে রেল লাইনে পড়ার কারণে কক্সবাজার এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম স্টেশনে আসতে ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট বিলম্ব হয়েছে। যে স্থানে গাছ ভেঙে পড়েছে তার আগে এসে অবস্থান করছিল ট্রেনটি। পরে ফায়ার সার্ভিসে সহায়তায় গাছ সরানোর পর সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেটি আবার ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে অন্যান্য সব ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে গেছে।