চট্টগ্রাম-পটিয়া ও চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে দুই জোড়া এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রুটে এক জোড়া নতুন কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। পটিয়া ও দোহাজারী রুটে দোহাজারী কমিউটার-১ এবং দোহাজারী কমিউটার-২ নামে নতুন দুই জোড়া ট্রেন চলবে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ট্রেন দুটি উদ্বোধন করবেন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহাশীষ দাশগুপ্ত আজাদীকে জানান, মন্ত্রী মহোদয় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় দোহাজারী থেকে দোহাজারী-১ উদ্বোধন করবেন। এরপর দুপুর ১২টায় পটিয়া থেকে দোহাজারী কমিউটার-২ উদ্বোধন করবেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খুললে চট্টগ্রাম থেকে ক্যাম্পাসে নতুন এক জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে জানান তিনি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে যে ট্রেনটি প্রথমে পটিয়া যাবে সেটি ভোর সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছাড়বে। পটিয়া পৌঁছবে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে। এরপর পটিয়া থেকে সাড়ে ৭টায় ছেড়ে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছবে। দ্বিতীয় ট্রিপে বিকাল ৫টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে দোহাজারী পৌঁছবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। দোহাজারী থেকে রাত ৭টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে রাত ১০টায় চট্টগ্রাম পৌঁছবে দোহাজারী কমিউটার। এই দুই জোড়া ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শুক্রবার। দোহাজারী রুটে এখন দুই জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। এছাড়া দোহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টে ফার্নেস অয়েলবাহী একটি ওয়াগন ট্রেন চালু আছে।
এদিকে চট্টগ্রাম থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছুটবে নতুন এক জোড়া ট্রেন। ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন শাটল ট্রেনে করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা চবিতে নতুন ট্রেন দেয়ার দাবি জানান। ওই সময় মন্ত্রী নতুন ট্রেন দেওয়ার ব্যাপারে তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। নতুন ট্রেন দেয়ার ঘোষণার পাশাপাশি ওইদিন ট্রেনের মধ্যে মন্ত্রী পূর্বাঞ্চলের জিএম এবং প্রধান প্রকৌশলীকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেন লাইন মেরামত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। মন্ত্রীর ঘোষণার পরপর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুক্তগীন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেন লাইনের কাজ শুরু করেন।
লাইনের কাজ শেষ হওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস রুটে ট্রেন চালুর কথা ছিল ২০২০ সালের শুরুতে। কিন্তু ওই রুটে রেললাইনের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় তখন ট্রেন চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন স্বাভাবিক গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।