স্ত্রীর সাথে অভিমানের জের ধরে গলায় উড়না পেছিয়ে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে। গত শুক্রবার রাতে পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যাকারী সোহেল (৩০) ওই এলাকার শামসুল আলমের পুত্র। সোহেল পেশায় একজন সিএনজি অটোরিক্সা চালক।
জানাগেছে, তিন মাস পূর্বে পটিয়া উপজেলার পাঁচুরিয়া গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর মেয়ে নাহিদা আক্তারের (১৯) সাথে উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এলাকার শামসুল আলমের পুত্র সোহেলের বিয়ে হয়। গত শুক্রবার সকালে মেয়ের ভাই এসে নাহিদা আক্তারকে বাপের বাড়ি বেড়াতে নিয়ে যায়। এসময় তাকে বেড়াতে না যাওয়ার জন্য নিষেধ করে স্বামী। তা সত্ত্বেও তার কথা অমান্য করে ভাইয়ের সাথে বাপের বাড়ি চলে যায় নাহিদা। এতে অভিমানে নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেছিয়ে আহত্যা করে সোহেল। পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনা রাতে পটিয়া থানাকে জানানো হলে পুলিশ রাত দুইটার সময় বাড়িতে গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
পটিয়া থানার এসআই বোরহান উদ্দীন মজুমদার জানান, স্ত্রীর সাথে অভিমান করে মো. সোহেল আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওড়না পেছানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়ায় পরিবারের কাছে লাশ স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়।












