পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের মুরালি ঘাট এলাকায় গতকাল সোমবার (২০ ডিসেম্বর) গভীর রাতে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে।
অপরদিকে, ওই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নৌকার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা প্রচার-প্রচারণায় বাধা সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় ভোটাররা দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন।
নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থলে এক প্রতিবাদ সভা করে আওয়ামী লীগ।
এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা সামশুল আলম সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, নির্বাচনে পরাজয় দেখতে পেয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতি রাতের আঁধারে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমানিত করা হয়েছে। এটা পুরো জাতির জন্য কলঙ্ক। প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা।
অপরদিকে, একই ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এডভোকেট আবদুর রশিদ দৌলতি নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও নানাভাবে হুমকি-ধমকির অভিযোগ এনে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌর সদরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর দিন থেকে প্রতিনিয়ত প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বাধার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করারও অভিযোগ করেন তিনি।
বিষয়টি তিনি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, একটি মাইক্রোবাসে করে মুখে কাপড় বেঁধে বহিরাগত যুবকরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে ছিলেন দিদারুল আলম সওদাগর, জাহেদুল হক সওদাগর, শফি দৌলতী, আবদুর রশিদ সওদাগর, মুহাম্মদ খালেক সওদাগর, আবদুল মান্নান প্রমুখ।