পটিয়ায় দুটি ডিভাইসসহ দুই ভাই গ্রেফতার

হুইপের গতিবিধি ও কথোপকথনে নজরদারি!

পটিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৯ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ায় হুইপের গতিবিধি ও কথোপকথনে নজরদারির মিশনে কাজ করা ২ সহোদরকে দু’টি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-মেহেবুবুর রহমান চৌধুরী (৩২) ও আবদুল দয়ান (২২)। তারা ২ জনই উপজেলার হুইপের এলাকার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের আবদুল মান্নান চৌধুরীর ছেলে। এ ঘটনায় হুইপের সহকারী একান্ত সচিব হাবীবুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত দুুইজন ছাড়াও সংঘবদ্ধ ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের আরো ২জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীর তথ্য পাচারের অভিযোগে দুুই সহোদরকে উপজেলার শোভনদন্ডীর রশিদাবাদস্থ হুইপের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল সোমবার তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করার পর আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত রোববার সন্ধ্যায় হুইপ সামশুল হক চৌধুরী উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে দর্শনার্থীদের ভিড়ের মধ্যে একজন যুবকের গতিবিধি রহস্যজনক মনে হলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তল্লাশী করে ওই যুুবকের প্যান্টের পকেট থেকে দুইটি ইলেক্ট্রনিঙ ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। ওই ডিভাইসগুলোতে হুইপের বিভিন্ন কথোপকথনের রেকর্ড পাওয়া যায়। মামলার ১ নাম্বার আসামি মেহেবুুবুুর ৬৩ হাজার টাকার বিনিময়ে হুইপের সম্মানহানির জন্য তার ছোটভাই দয়ানকে ইলেক্ট্রনিঙ ডিভাইসগুলো দিয়ে হুইপের বাড়িতে পাঠায়। এসময় দয়ান হুইপের কাছাকাছি অবস্থান করছিল। তার কথোপকথন রেকর্ড ও এডিটিংয়ের পর বিভিন্ন মাধ্যমে প্রেরণ করে সম্মানহানির চেষ্টা চালায়। আটক আবদুল দয়ানের তথ্যমতে, বড়ভাই মেহেবুবুুর রহমানকেও আটক করে পুুলিশ। তাদেরকে আটকের আগেও তারা বিভিন্ন মাধ্যমে একাধিকবার তথ্য আদান প্রদান করেছে বলে পুলিশ জানায়।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, হুইপের সম্মানহানির করার জন্য টাকার বিনিময়ে দুইভাই ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের নিকট হুইপের তথ্য সরবরাহ করতো। এ চক্রের যোগসাজশে তারা দুইজন দীর্ঘদিন ধরে তথ্য সরবরাহ করেছে। একটি ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের এক সদস্য তাদেরকে ৬৩ হাজার টাকার বিনিময়ে এ দুইটি ডিভাইস দিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। এ চক্রের মূলহোতাসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তাই তাদেরকে রিমান্ডে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশে বিনিয়োগ করুন
পরবর্তী নিবন্ধবেশি ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থা হুঁশিয়ারি কাদেরের