আধিপত্য বিস্তার ও গুলিবিদ্ধের ঘটনা নিয়ে পটিয়ায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে গতকাল এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ পাহারায় তাকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয় পুলিশ।
গতকাল রাত ৮টার দিকে উপজেলা পরিষদ এলাকায় প্রতিপক্ষের অনুসারীদের কাছে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শাহদাত হোসেন সবুজ। খবর পেয়ে পটিয়া থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে ও তার অনুসারীদের রাত ৯টার দিকে নিরাপদে ইউনিয়ন পরিষদে পৌঁছে দেয়।
জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ডিএম জমির উদ্দিন ও তার অনুসারীদের সাথে জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সবুজের বিরোধ চলছে। চলতি বছর দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা রেকর্ড হয়।
গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু সরকারের সাবেক শিল্প ও প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরীর স্মরণসভা শেষে ডিএম জমির উদ্দিন ও তার অনুসারীরা গাড়িবহর নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সবুজ ও তার অনুসারীরা মুখোমুখি হন। উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পটিয়া থানার ওসিসহ এক দল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে পুলিশ দুই পক্ষকে শান্ত করে ইউপি চেয়ারম্যান সবুজকে নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছে দেন।
জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সবুজ বলেন, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে শনিবার রাতে বৈঠক ছিল। বৈঠক চলাকালে ডিএম জমির উদ্দীনের নেতৃত্বে কিছু যুবক আমাদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা নেয়। বিষয়টি তিনি বুঝতে পেরে থানা পুলিশকে অবহিত করি।
ডিএম জমির উদ্দিন জানান, শাহদাত হোসেন সবুজ ও তার অনুসারীরা কিছুদিন পূর্বে অতর্কিতভাবে তাকে ও তার অনুসারীদের গুলি করে আহত করেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যানকে হামলার কোনো পরিকল্পনা তিনি করেননি।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ইউএনও স্যারের রুমে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে ইউপি চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সবুজও উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যানের ধারণা ছিল তার প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর হামলা করতে পারে। খবর পেয়ে পুলিশ অবস্থান নেয়। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।