পটিয়া ও সীতাকুণ্ডে পৃথক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পটিয়া প্রতিনিধি জানান, পটিয়ায় ওভারটেক করা বাস কেড়ে নিল মো. ইউসুফ নামের এক পথচারীর প্রাণ। মহাসড়কের ভেল্লাপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন নাদিয়া কলোনির সামনে ওভারটেক করা বাসের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দ্রুতগামী বাসটি জব্দ করা গেলেও চালক পলাতক রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, চট্টগ্রাম কঙবাজার মহাসড়কের উপর অ্যালান পরিবহন চট্টমেট্টো–১১–১০৪ বাসটি চট্টগ্রামগামী ঈগল পরিবহনকে ওভারটেকিং করার সময় সড়কের বাম পাশে থাকা পথচারী মো: ইউসুফকে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। মো. ইউসুফ পটিয়া ৭নং ওয়ার্ডের মালিয়ারা ইউনিয়নের গুরা মিয়ার পুত্র। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে পটিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ তৌফিক ইসলাম তৌফিক জানান, সড়কের পাশে বিয়ের ফুল কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে আনুমানিক ৪০ বছর বয়সী যুবক রাস্তার পাশ ধরে হাটছিলেন। এসময় দ্রুতগামী বাসটি ওভারটেক করতে গিয়ে ওই পথচারীকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গাড়ীর চালক পলাতক রয়েছে।
এদিকে সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান, সীতাকুণ্ডে পিকআপ ভ্যানের চাপায় নুরুল আলম (৮০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের এ ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধ নুরুল আলম ওই ইউনিয়নের মহালঙ্গা গ্রামের মৃত কবির আহম্মেদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধ নুরুল আলম হেঁটে সড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকামুখী একটি পিকআপভ্যান তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কুমিরা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, বড় দারোগারহাট এলাকায় মহাসড়ক পারাপারের সময় একটি দ্রুতগামী অজ্ঞাত গাড়ি বৃদ্ধ নুরুল আলমকে চাপা দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহতবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।