মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ৩২ বছর ধরে ওমানে কর্মরত থেকে দেশের অর্থনীতিকে করেছেন সমৃদ্ধ।
যোগান দিয়েছিলেন নিজের পরিবারের অর্থের।
পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে প্রায় মাসখানেক ধরে শয্যাশায়ী এই রেমিট্যান্স যোদ্ধা।
আইসিইউ ও সিসিইউতে অবস্থান শেষে নিঃসঙ্গ সময় কাটাচ্ছেন তার ছোট্ট কক্ষটিতে।
আশেপাশে কেউ নেই সেবা-শুশ্রূষার। ভারতের কেরালা প্রদেশের আব্দুস সামাদের অর্থনৈতিক বিশেষ সহযোগিতায় কোনোরকমে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি সময় কাটাচ্ছেন ঢাকার নবাবগঞ্জের আলগা পূর্বপাড়ার ইব্রাহিম।
তার শেষ ইচ্ছে দেশে গিয়ে মরতে চান তিনি।
একদিকে অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা অন্যদিকে টাকা দিয়েও বিমানের টিকেট পেতে পোহাতে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনা।
ওমানে কর্মরত বিমান কর্মকর্তারা বলছেন টিকেট পেতে হলে সশরীরে হাজির হতে হবে বিমানের হেড অফিসে। অন্যথায় টিকেট দিতে অপারগ তারা।
প্রবাসীরা বলছেন, প্রবাসী জনগোষ্ঠীর কেউ অসুস্থ হলে বিনা খরচে দেশে পাঠানো এখন সময়ের দাবি। লাশ কিংবা রোগী বহনে বিমানের নীতিমালা আরও শিথিল করে বিনা খরচে দেশে পাঠানোর দাবি ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের।